Missile launch Teesta: মধ্যরাতে এসে পৌঁছল বড় বড় ট্যাঙ্কার, সকাল হতেই মুহুর্মুহু মিসাইল নিক্ষেপ! কেঁপে উঠছে তিস্তাপাড়
Missile launch Teesta: কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। গোলাবারুদের ধোঁয়া অন্ধকার হল চারদিক। তবে কী যুদ্ধ লাগল? এই মিশনের লক্ষ্য হল, যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে একটি মিসাইল ছুড়লেই শুক্রপক্ষের একটা ট্যাঙ্কর উড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কোন মোডে মিসাইল ছোড়া হবে এবং সেভাবে ছুড়লেই ট্যাঙ্কারটি উড়ে যাবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জলপাইগুড়ি: আপাত শান্ত তিস্তা পাড়। সবুজ, খরস্রোতা নদীর ধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই টেনে নিয়ে যায় পর্যটককে। সেই তিস্তা পাড় যেন যুদ্ধক্ষেত্র। বড় বড় ট্যাঙ্কার, ভারী বুটের আওয়াজ আর একের পর এক মিসাইল নিক্ষেপ! কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। গোলাবারুদের ধোঁয়া অন্ধকার হল চারদিক। তবে কী যুদ্ধ লাগল? না, সপ্তাহব্যপী চলল ভারতীয় সেনা জওয়ানদের এক বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির।
ওয়ান মিসাইল ওয়ান ট্যাঙ্ক- এই লক্ষ্য সামনে রেখে তিস্তা পাড়ের ফায়ারিং রেঞ্জে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ফায়ারিং কর্মসূচি পালন করল ইস্টার্ন কমান্ডের সেনারা। বার্ষিক ইস্টার্ন কমান্ড এটিজিএম ফিল্ড ফায়ারিং- গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
পদাতিক এবং মেশিনাইজড্ ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন ইউনিট থেকে দেড় হাজার জনেরও বেশি কমান্ড স্তরের সেনা প্রশিক্ষণ অনুশীলনে অংশ নেন। এই অনুশীলনে ত্রিশক্তি কর্পসের তত্ত্বাবধানে গুলি চালানো হয় এবং ওয়ান মিসাইল ‘ওয়ান ট্যাঙ্কে’র ২৬০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত পরিস্থিতি বিবেচনা করে কীভাবে মিসাইল ছুড়তে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এই মিশনের লক্ষ্য হল, যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে একটি মিসাইল ছুড়লেই শুক্রপক্ষের একটা ট্যাঙ্কর উড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কোন মোডে মিসাইল ছোড়া হবে এবং সেভাবে ছুড়লেই ট্যাঙ্কারটি উড়ে যাবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে একাধিক যানও ব্যবহার করা হয়।