Jalpaiguri: মামলা সরানোয় রেগে লাল, মক্কেলকে মারধরে অভিযুক্ত আইনজীবী
Jalpaiguri: যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস। বলেন, একেবারে মিথ্যা অভিযোগ। তিনি গায়ে হাত তোলেননি। তাঁর কাছ থেকে NOC না নিয়ে মামলা শঙ্করদের সেরেস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: সেরেস্তা বদল করায় মক্কেলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল আইনজীবীর বিরুদ্ধে। থানার দ্বারস্থ মক্কেল। অভিযোগ অস্বীকার আইনজীবীর। জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আদরপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ভীম চন্দ্র সরকার। বছর খানেক আগে তাঁর দাদার পরিবারের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে একটি ফৌজদারি মামলার শুরু হয়। সেই মামলায় ৫ জন অভিযুক্ত ছিলেন। অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের আইনজীবী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ দাস। বাকি ১ জনের আইনজীবী ছিলেন শঙ্কর দে। সম্প্রতি ৪ জনের মামলা রবিবাবুর সেরেস্তা থেকে শঙ্করবাবুর সেরেস্তায় সরিয়ে আনাতেই ঝামেলার সূত্রপাত বলে খবর।
ভীম চন্দ্র সরকার বলেন, মামলার গতিপ্রকৃতি দেখে পছন্দ না হওয়ায় আমরা সম্প্রতি ৪ জন অভিযুক্তর মামলা রবি বাবুর সেরেস্তা থেকে শঙ্কর বাবুর সেরেস্তায় বদল করি। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ আমাকে ফোন করেন নতুন আইনজীবী শঙ্কর দে। আমাকে তখনই আদালতে আসতে বলেন। আমি আদালতে যাই। সেইসময় আচমকাই আমার দিকে লোক নিয়ে ছুটে আসেন রবিবাবু। আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর দু’জনে মিলে মারধর করে। আদালতে মানুষ বিচার চাইতে যায়। আর সেখানেই যদি এভাবে হেনস্থা হয় তবে এর চেয়ে বেদনার আর কিছু নেই। তাই আজ অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গেলাম।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস। বলেন, একেবারে মিথ্যা অভিযোগ। তিনি গায়ে হাত তোলেননি। তাঁর কাছ থেকে NOC না নিয়ে মামলা শঙ্করদের সেরেস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনায় অপর আইনজীবী শঙ্কর দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপুল রায় জানাচ্ছেন এই জাতীয় কোনও অভিযোগ তার কাছে আসেনি। যদি আসে তবে তা নির্দিষ্ট কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।