Malda: রোজই আসতো অচেনা যুবক-যুবতীর দল, অন্য কিছুর গন্ধ পেতেই রেগে লাল এলাকার লোকজন, কংগ্রেসের সঙ্গেই নাম জড়ালো তৃণমূলের
Malda: যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে থাকায় তারা প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালানো হচ্ছে। এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
মালদহ: হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগ। মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই তুলকালাম কাণ্ড। খবর পেয়ে এলাকায় যেতেই যেতেই মার খেল পুলিশ। আহত সাব ইন্সপেক্টর। একইসঙ্গে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হল হোটেলটিতেও। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ যুবককে। উদ্ধার করা হয়েছে এক মহিলাকে। স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করা হলে থানার সামনে রাতভর চলল বিক্ষোভ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় তেঁতুলবাড়ি এলাকায়।
যে হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছে সেই হোটেলের মালিক আবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আত্মীয় এবং প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও হোটেলটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িয়েছে তৃণমূলের নামও। তৃণমূলের দুই নেতার কাছে হোটেলটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বলে জাবি। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে থাকায় তারা প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালানো হচ্ছে। এমনটাই দাবি তৃণমূলের। যদিও কংগ্রেসের দাবি এক মাস আগেই হোটেলটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা নিয়েছিল তাঁরা তৃণমূল করে। তাঁরাই ষড়যন্ত্র করে এসব বলছে এখন।
সূত্রের খবর, তেঁতুল বাড়ির এই হোটেলের মালিক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ মুসলিমের ছেলে নুর আলম। তিনি আবার কংগ্রেস সিপিএম জোট পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের আত্মীয়। অভিযোগ, ওই হোটেলে বেশ কিছুদিন ধরেই অচেনা যুবক-যুবতীদের যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল। তাতেই সন্দেহ বাড়ে আশপাশের দোকানের লোকজনের। মঙ্গলবার রাতেও বেশ কিছু যুবক যুবতী আসে। এলাকার লোকজনই চার যুবক ও এক মহিলাকে আটক করে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ আসতেই একাবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ধাক্কাধাক্কিতে সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত হন। গণ্ডগোলের কারণে স্থানীয় কিছু যুবককে পুলিশ আটক করে আগুনে ঘি পড়ে। আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।