Madhyamik Controversy: ‘অ্যালুমিনিয়াম-কার্বনের ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে…’, ফাঁস মাধ্যমিকে কারচুপির নতুন পন্থা

Madhyamik Exam: অভিযোগ উঠছে মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকেই ওই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল, এনায়েতপুর হাইস্কুলের হেডমাস্টারের সঙ্গেও। প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামালের অবশ্য যুক্তি, স্কুলের তরফে যা যা করা যায়, সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে এসব ঠেকানোর।

Madhyamik Controversy: 'অ্যালুমিনিয়াম-কার্বনের ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে...', ফাঁস মাধ্যমিকে কারচুপির নতুন পন্থা
মাধ্যমিক পরীক্ষাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 4:42 PM

মালদা: পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোয়াটসঅ্যাপে হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে। ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। মাধ্যমিকের প্রথম দু’দিনে এটাই ছিল বাংলার চিত্র। আর এই নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে শিক্ষা মহলে। আর একইসঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে মালদার এক স্কুল। অভিযোগ উঠছে মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকেই ওই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল, এনায়েতপুর হাইস্কুলের হেডমাস্টারের সঙ্গেও। প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামালের অবশ্য যুক্তি, স্কুলের তরফে যা যা করা যায়, সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে এসব ঠেকানোর।

পরীক্ষায় কারচুপির জন্য কী কী প্ল্যানিং চলে একাংশের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে, সে কথাও এদিন তুলে ধরেন এনায়েনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর মতে, এক শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের থেকেও বেশি এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে, প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড থাকার পরও, সেটিকে যেভাবে লাল কালি দিয়ে মাস্কিং করে ছড়ানো হয়েছে, যাতে ধরা না পড়ে… তা দেখে এটাই মনে করছেন এনায়েতপুর হাইস্কুলের হেডমাস্টার বদিউজ্জামাল।

তিনি আরও বলেন, “ইনভিজিলেটরদের পর্ষদ থেকে কোনও মেটাল ডিটেক্টর দেওয়া হয়নি। ম্যানুয়ালি চেকিং করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরুর আগে এগুলি (মোবাইল) পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ম্যানুয়াল চেকিং করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাচ্চারা অ্যালুমিনিয়াম বা কার্বন ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে রাখছে। সে তো মেটাল ডিটেক্টরে আরও ধরা পড়বে না।”

তবে একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, প্রধান শিক্ষক কোনও ‘ফ্যান্টাসনিক ফোর’ নন। একজনের পক্ষে নিজের হাত চারদিকে ছড়িয়ে গোটা পরীক্ষাকেন্দ্র ঘিরে রাখা যে সম্ভব নয়, সেটাই বোঝাচ্ছেন তিনি। বলেন, “আমি তো স্কুল চত্বরের সব জায়গায় একসঙ্গে নজর রাখতে পারি না। প্রধান শিক্ষকও তো একজন মানুষ। প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব ঠিকই পালন করেছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তো ফ্যান্টাসনিক ফোরের মতো নিজের হাত চারদিকে ছড়িয়ে গোটা পরীক্ষাকেন্দ্র একা ঘিরে রাখতে পারেন না। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র পরিসরে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”