‘১০ টা নেতাকে এক ছাতার তলায় আনতে পারে না, ১৩০ কোটির দেশ কী ভাবে সামলাবে?’
বুধবার বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জে গিয়ে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বহরমপুর: বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার এই ইস্যুতে খোঁচা দিলেন বিজেপিকে। আজ বুধবার বহরমপুরে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অভিষেক ফের বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘১০ টা নেতাকে এক ছাতার তলায় আনতে পারে না, ১৩০ কোটির দেশ কী ভাবে সামলাবে?’
ভোটের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে গ্রামবাসীদের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। আর এই প্রসঙ্গ তুলে বারবারই বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এ বারও বহরমপুরে দাঁড়িয়ে একই কথা বললেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘যাতা কলাপাতায় ভাত খেত, খাটিয়ায় বসে ছবি তুলত, তাদের আর দেখা যাচ্ছে না। মার্চ-এপ্রিলে এই ট্যুরিস্ট গ্যাং-কে দেখা গিয়েছিল।’ অভিষেকের দাবি, তাঁদের এখন অনবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও দেখা যাচ্ছে না।
তৃণমূল যে সর্বভারতীয় দল হিসেবে নতুন করে জায়গা করে নিতে চাইছে, তা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। আর সেই ইস্যুতে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুকে জবাব দিতে গিয়েই অভিষেক বলেন, ‘উনি জ্ঞান হারিয়েছেন। আগে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটান। ১০ টা নেতাকে এক ছাতার তলায় যারা আনতে পারে না, তারা ১৩০ কোটির দেশ কী ভাবে সামলাবে, তা জনতাই বুঝে নিক।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করতেই রাজীবের নামে ডোমজুড় জুড়ে পোস্টার
অভিষেক বলেন, ‘বিজেপিকে সুখে পাবেন না, দুঃখের সময় পাবেন।’ বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের পাশে যে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল সারা বছর থাকবে, এ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এ দিন বহরমপুরের পর রঘুনাথগঞ্জেও যান তিনি। খামে ভরে সাহায্যও তুলে দেন তাঁদের হাতে। কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক। মুর্শিদাবাদের পর হুগলিতেও যাবেন অভিষেক।