Ranaghat Robbery: ‘পুজোর মুখে এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকি, এখন যে কী হবে’, আক্ষেপ সোনার দোকানের কর্মীদের গলায়
Ranaghat Robbery: রানাঘাটের ডাকাতিতে যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে বিহার-যোগ।

রানাঘাট: বয়ে গিয়েছে এক মারাত্মক ঝড়! প্রাণটাও চলে যেতে পারত যে কোনও সময়, ছবিই বলে দিচ্ছে সে কথা ! এখনও শোরুমের কর্মীরা ভাবতে পারছেন না, কোথা থেকে কী হয়ে গেল ! এরই মধ্যে পুলিশি তদন্তে সামনে আসছে একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। শিকড় যে অনেক গভীরে, একথা স্পষ্ট! তবে কতদূর ছড়ানো, তারই নাগাল পেতে এখন ব্যস্ত তদন্তকারীরা।
রানাঘাটে ডাকাতির জন্য কল্যাণীতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, ঠান্ডা মাথায়, বেশ অনেকটা সময় নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা সাজিয়েছিল অপরাধীরা। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, এখানে ভাড়া থাকতে হলে কোনও পরিচয়পত্রই লাগে না। ওদেরও পরিচয়পত্র দেখাই হয়নি। ওরা ১৫ জন ছিল দলে। যদি ঘটনায় পরতে পরতে এখনও অনেক রহস্য। জট ছাড়াতে তত্পর পুলিশ। এরই মধ্যে রানাঘাটের যে শোরুমে লুটপাট করে পালায় দুষ্কৃতীরা, সেখানে কিন্তু এখনও আতঙ্কের ছায়া। পুজোর মুখে এত বড় অঘটনে দোকানের সকল কর্মীর মুখেই আতঙ্কের ছাপ।
রানাঘাটের ওই সোনার দোকানের এক কর্মী বলছেন, “এই সময়টার জন্য আমরা গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকি। এটা ব্যবসার খুব ভাল সময়। তারমধ্যেই তো এমনটা হয়ে গেল। এবার কী হবে জানি না। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।”
রানাঘাটের ডাকাতিতে যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে বিহার-যোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের সিভান জেলার বাসিন্দা তারা। অর্থাত্ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে এখানে এসে, থেকে, প্ল্যান করে, অস্ত্র বাগিয়ে, দিনেদুপুরে অ্যাকশন ! মাস্টারমাইন্ড কে বা কারা, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে ! প্রশ্ন অনেক। উত্তর অধরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তো রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েই! বাইরে থেকে লোক এসে , বন্দুকের ডগায় যা ইচ্ছে করে ফেলতে পারে? এটা দেখে যেতে হবে বঙ্গবাসীকে? প্রশ্ন উঠছে নানা মহল থেকে।





