Krishnanagar Murder: সকালে উদ্ধার ঝলসানো দেহ, কৃষ্ণনগরের সেই নির্যাতিতার ফেসবুক স্টেটাস চমকে দেওয়ার মতো
Krishnanagar Murder: মঙ্গলবার সারা রাত বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে পূজা মণ্ডপের অদূরেই উদ্ধার হয় ওই তরুণীর বিবস্ত্র দেহ। প্রমাণ লোপাট করতে অ্যাসিড ঢেলে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
কৃষ্ণনগর: লক্ষ্মীপুজোর সকালেই উদ্ধার হয়েছে তরুণীর অর্ধদগ্ধ, বিবস্ত্র দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় কৃষ্ণনগর। গণধর্ষণ সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতার প্রেমিককে। তবে নির্যাতিতার ফোন হাতে আসতেই চাঞ্চল্যকর পোস্ট হাতে পায় পুলিশ। ফেসবুক স্টেটাসে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী।’ যাঁর দেহে কোনও পোশাক পাওয়া যায়নি, যাঁর দেহে মুখের অংশটা অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছে, তাঁর স্টেটাসে লেখা, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়! এ কী করে সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন।
মঙ্গলবার সারা রাত বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে পূজা মণ্ডপের অদূরেই উদ্ধার হয় ওই তরুণীর বিবস্ত্র দেহ। প্রমাণ লোপাট করতে অ্যাসিড ঢেলে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা তরুণীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, সারা রাত প্রেমিক ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর ফোন উদ্ধার হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর ফেসবুকে একটি স্টেটাস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী। তোমরা সবাই ভাল থেকো।’ সুইসাইড নোটে যেমন লেখা থাকে, অনেকটা তেমনই। প্রশ্ন হল, কে দিল এই স্টেটাস? তরুণী নিজেই? নাকি অন্য কেউ?
এই খবরটিও পড়ুন
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ফোনটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারপরই স্পষ্ট হবে, এই স্টেটাস আসলে কার লেখা? ইতিমধ্য়েই নির্যাতিতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী অ্যাসিড হামলা, গণধর্ষন , খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে প্রেমিককে। তাঁর বাবা-মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।