Nadia: অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলেনি ছেলে, ভিতরে যে এই কাণ্ড ভাবতেই পারেননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা
Hanging Death Body Recovered: বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ছোট্ট একটি সন্তানকে নিয়ে ভালই চলছিল সংসার। নীচে মা-বাবা নিজেদের ঘরে ছিলেন। উপরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রাহুল। বুধবার রাতে মা-বাবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করেছিলেন রাহুল।

গয়েশপুর: রোজকার সকালে উঠে কাজে যাওয়াই ছিল অভ্যাস। কিন্তু আচমকা রুটিনে ছেদ। তাতেই বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুর এলাকার। গলায় গামছা দেওয়া অবস্থায় নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় রাহুল দেবনাথ নামের বছর পঁচিশের ওই যুবকের দেহ। গয়েশপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কী কারণে মৃত্যু তার উত্তর খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ছোট্ট একটি সন্তানকে নিয়ে ভালই চলছিল সংসার। নীচে মা-বাবা নিজেদের ঘরে ছিলেন। উপরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রাহুল। বুধবার রাতে মা-বাবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করেছিলেন রাহুল। তারপর উপরে ঘুমাতে যান। সকালে কাজে যেতে দেরি হচ্ছে দেখে রাহুলকে তার বাবা-মা উপরের ঘরে ডাকতে গিয়ে দেখেন গলায় গামছা লাগিয়ে পাখার সঙ্গে ঝুলছে রাহুল।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। দ্রুত রাহুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা রাহুলকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। কিন্তু কেন আচমকা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে গেলেন রাহুল তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গয়েশপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ইতিমধ্য়েই দেহ পাঠানো হয়েছে পুলিশ মর্গে। সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত। এদিকে যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন প্রতিবেশীরাও।
