Fraud Case: কৃষি দফতরে চাকরি পেতে টাকা দিয়েছিলেন, এক যুগ পর প্রতারণার অভিযোগ
Fraud Case: বয়ান অনুযায়ী, এক বন্ধুর সূত্রে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। রেজাউল তাঁর মেয়ের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে কথায় বিশ্বাসও করে নেন তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনাটি প্রায় ১২ বছর আগের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বাসিন্দা মিহির দাস তাঁর মেয়ের চাকরির জন্য দত্তপুকুরের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে দাবি। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, এক বন্ধুর সূত্রে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। রেজাউল তাঁর মেয়ের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে কথায় বিশ্বাসও করে নেন তিনি।
চাকরির জন্য ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন রেজাউল। নিজের পারিবারিক জমি বিক্রি করে মেয়ের জন্য টাকা তোলেন মিহির দাস। রেজাউলকে জমি বিক্রির টাকা দেন তিনি। তারপর থেকে শুরু হয় অপেক্ষা। আজ নয়, কাল-পরশু-এইভাবে মিহিরকে ঘোরাতে থাকেন রেজাউল।
বছরের পর বছর কেটে যায়। মিহির দাস বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর রেজাউলের কাছ থেকে টাকা ফেরত চান তিনি। রেজাউল তাঁকে টাকা ফেরতেরও আশ্বাস দেন। রেজাউল মিহিরকে কতগুলো চেক লিখে দেন। কখনও ৭৭ হাজার টাকা, কখনও ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু প্রত্যেকটা চেক বাউন্স করে বলে দাবি মিহিরের।
শেষমেশ দত্তপুকুর থানার দ্বারস্থ হন মিহির দাস। দত্তপুকুর থানা মিহির দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। মিহির দাসের অভিযোগ স্ট্যাম্প পেপারে সই করে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছিলেন রেজাউল। মেয়ের চাকরির আশা গিয়েছে। মিহির দাস এখন তাঁর টাকা ফেরত চাইছেন।
এরপর রেজাউল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নিয়োগ দুর্নীতি আর চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। এই ঘটনা ১২ বছর আগে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরির প্রত্যাশ্যা করেছিলেন, তাঁরাও তো দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিয়েছেন।