Rain Engine Making: লক্ষ্য ৫৪০, ইঞ্জিন তৈরির বিশ্বরেকর্ডের অপেক্ষায় বাংলার রেল কারখানা

Rain Engine Making: গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় প্রায় ১০০-রও বেশি রেল ইঞ্জিন তৈরি করতে হবে এবার। অর্থাৎ দিনে একাধিক ইঞ্জিন তৈরি করলে তবেই হবে লক্ষ্য পূরণ।

Rain Engine Making: লক্ষ্য ৫৪০, ইঞ্জিন তৈরির বিশ্বরেকর্ডের অপেক্ষায় বাংলার রেল কারখানা
আসানসোল রেল ইঞ্জিন কারখানাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 11:13 PM

আসানসোল: এক দিনে ১২ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। এটাই শেষ নয়। বারবার নিজেদের শ্রম আর দক্ষতায় চমক দিয়েছে এই কারখানা। এবার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেটাও অনায়াসে পার করে ফেলবেন বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম বর্ধমানের এই কারখানায় মূলত লোকো ইঞ্জিন তৈরি হয়। সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের একাধিক ইঞ্জিন তৈরির অর্ডারও পেয়েছে এই সংস্থা। তবে অনেকেই জানেন না ইঞ্জিন তৈরি করে বিশ্বরেকর্ডও করেছে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস বা সিএলডব্লু। এবার অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে ফেলতে চলেছে তারা। চলতি আর্থিক বর্ষের তাদের ৫৪০ টি রেল ইঞ্জিন বানানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে তৈরি হবে বিরাট নজির। উৎপাদনের নিরিখে গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত হবে ভারত।

২০১৯-২০ সালেই চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ জায়গা করে নিয়েছিল লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে। এক বছরে ৪০২টি ইঞ্জিন তৈরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল এই কারখানা। এরপর নিজেদের রেকর্ড তারাই নিজেরাই ভেঙেছে। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দেবপ্রসাদ দাস জানিয়েছেন, “গত আর্থিক বছরে ৪৩৬টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছিল। আর এবার রেল বোর্ড এক বছরে ৫৪০টি ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে।” অর্থাৎ গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় প্রায় ১০০-রও বেশি রেল ইঞ্জিন তৈরি করতে হবে এবার। অর্থাৎ দিনে একাধিক ইঞ্জিন তৈরি করলে তবেই হবে লক্ষ্য পূরণ। জেনারেল ম্যানেজারের দাবি, যে ভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে লক্ষ্য পূরণ শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে গত আর্থিক বর্ষের শেষের দিকে মার্চ মাসে একদিনে ১২ টি রেল ইঞ্জিনও বানিয়ে ফেলেছিলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকরা। অর্থাৎ তাঁদের কাছে অসম্ভব কিছুই নয়। দেবপ্রসাদ দাস জানিয়েছেন, “কাজ শুরু করার পর গত এপ্রিল-মে মাসে ৬৭ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছিল। জুন মাস থেকে সেই কাজে আরও গতি আসে। শুধু জুন মাসেই ৫৫টি লোকো ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে। জুলাই মাসে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। ৬৫টি রেল ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে জুলাই মাসে। অগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগেই ২১০টি লোকোমেটিভ ইঞ্জিন প্রস্তুত করে ফেলেছে সিএলডব্লুউ।”

অন্যদিকে, বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, গতি যতই বাড়ুক রেল ইঞ্জিন বানানোর ক্ষেত্রে সুরক্ষার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়। ইঞ্জিন নির্মাণের সব খুঁটিনাটি বিষয় পরীক্ষা করে তবেই ইঞ্জিন পাঠানো হয়।