BJP: ফের বিজেপির ‘কালী-বন্দনা’! প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে নয়া স্ট্র্যাটেজি?
Narendra Modi in Bengal: ঠিক যখন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বাঙালি-বিরোধিতার অভিযোগ তুলে সরব, যখন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামছেন, সেই আবহেই এই আমন্ত্রণ পত্র সামনে এল।

দুর্গাপুর: রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যের ‘অভিষেক’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল কালীঘাটের কালীর ছবি। চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার আগেও সেই একই বিষয় সামনে এল। আজ, শুক্রবার দুর্গাপুরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভা। ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন তিনি। সেই সভার আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে ‘মা দুর্গা’ ও ‘মা কালী’র নাম।
২৯ মে আলিপুরদুয়ারের সভার পর আজ ফের বাংলায় সভা। দুর্গাপুরের সেই সভার আমন্ত্রণ পত্রে ‘ভারত মাতা’র পাশেই দুর্গা ও কালীর নাম লেখা। প্রশ্ন উঠছে, বাঙালি আবেগে শান দিতেই কি দুর্গা ও কালীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে! বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার প্রচেষ্টা? উল্লেখ্য, দুর্গা ও কালী হল হিন্দুধর্মের এমন দুই দেবতা, যাদের পুজো বাংলার প্রায় ঘরে ঘরে হয়।
ঠিক যখন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বাঙালি-বিরোধিতার অভিযোগ তুলে সরব, যখন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামছেন, সেই আবহেই এই আমন্ত্রণ পত্র সামনে এল। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এই প্রসঙ্গে বলছেন, ধর্মের ক্ষেত্রে বিজেপির কোনও ভেদাভেদ নেই। কেউ আলাদা নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের কাছে কেউ আলাদা নয়। নমাজ পড়তে চাইলে কেউ শান্তিতে পড়তে পারবেন। কেউ গীর্জায় যেতে চাইলে যেতে পারবেন।”
এদিকে, তৃণমূলের দাবি, বিজেপি আদতে এভাবে ভক্তি প্রদর্শন করাতে চাইছে। তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা এই প্রসঙ্গে বলেন, “ভক্তিতে আন্তরিকতা থাকে। দেখানোর রাজনীতি চলে না। ভক্তি প্রদর্শন করতে হয় না। মানুষের মধ্যে ভগবানকে খুঁজুন।” অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, এটা আসলে বিজেপির একরকমের বাহানা। ‘ওরা মানুষের পক্ষে নয়’, বলেও মন্তব্য় করেন তিনি।
