Asansol: একমাত্র বাঁশের সেতুই ভরসা ছিল দুপ্রান্তের বাসিন্দাদের, দামোদর ‘গিলে’ নিল সেটাও
Asansol: গত সোমবার খবর হয়েছিল দামোদরের ওপর জীর্ণ নড়বড়ে সেতুই ভরসা। ভরা বর্ষায় ওই বাঁশের অস্থায়ী সেতু দিয়েই বিপজ্জনক পারপার দুই জেলার মানুষের। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে দিনে রাতে আসানসোল থেকে হাজারও পুণ্যার্থী জল ঢালতে যাচ্ছেন বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে।
আসানসোল: শেষ পর্যন্ত জলের তোড়ে ভেসে গেলো দামোদরের ওপর বাঁশের ব্রিজ। এর উপর ভরসা ছিস বাঁকুড়া এবং আসানসোলের দুপ্রান্তের মানুষের। বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষায় শুক্রবার বিকেলে ভেসে গেল দামোদরের পর সেই অস্থায়ী বাঁশের ব্রিজটি। জলের তোরে প্রথমে দুটি ভাগ হয়ে যায়। এরপর দু’টি ভাগ কিনারায় এসে আটকে থাকে। সেই ব্রিজের দুটি খন্ড ভেসে গেল দামোদরে।
গত সোমবার খবর হয়েছিল দামোদরের ওপর জীর্ণ নড়বড়ে সেতুই ভরসা। ভরা বর্ষায় ওই বাঁশের অস্থায়ী সেতু দিয়েই বিপজ্জনক পারপার দুই জেলার মানুষের। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে দিনে রাতে আসানসোল থেকে হাজারও পুণ্যার্থী জল ঢালতে যাচ্ছেন বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে। আবার বার্নপুর ইস্কো কারখানায় কাজ করতে আসা ঠিকা শ্রমিক, আসানসোলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা পড়ুয়া, শাকসবজি বিক্রেতা, ফেরিওয়ালাদের ভরসা ওই নড়বড়ে অস্থায়ী সেতু। ফি বছর বর্ষায় জলের তোড়ে ভেসে যায় ওই সেতু। তখন ভরসা খেয়া পারাপার। নিত্যযাত্রীদের পাসপাশি এই শ্রাবণে পুণ্যার্থীরা দাবি তুলেছিলেন স্থায়ী সেতুর। আবার সেতু নিয়ে লাগে রাজনীতির রং।
তৃণমূল রাজ্য কমিটির সদস্য অশোক রূদ্র বলেন, “আগামী দিনে সেতু নিশ্চয় রাজ্য সরকার করবেন। কিন্তু আসানসোল দক্ষিনের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল কী করছেন? তিনি কেন রেল, সেল বা কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে ওই সেতু তৈরি করাচ্ছেন না।” পাল্টা অগ্নিমিত্রা পালের দাবি ছিল, কেন্দ্রের ওই সেতু তৈরির এক্তিয়ার নেই। রাজ্যকেই ওই সেতু করতে হবে। তিনি নিতিন গড়করির সঙ্গে কথা বলেছেন। জাতীয় সড়ক হলে তবেই কেন্দ্র ওই সেতু গড়তে পারে। কিংবা সেতু করতে চেয়ে রাজ্যকে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল আর ওই পারে বাঁকুড়া। ওই পথ দিয়েই সহজেই যাওয়া যায় পুরুলিয়ায়। কিন্তু যোগাযোগের মাধ্যম দামোদরের উপর নড়বড়ে একটি বাঁশের সেতু। গত ৫০ ধরে মানুষ দাবি করছে একটি পাকা সেতুর। ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি আসে। সেতু হয় না বলেই অভিযোগ।