Kazi Nazrul University: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপসারিত উপাচার্য, বিজয়োল্লাস বিশ্ববিদ্যালয়ে
Kazi Nazrul University: গত দু মাসের বেশি সময় ধরে আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চলছিল আন্দোলন। দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যকে বরখাস্ত করতে হবে বলেই আন্দোলন চলছিল। এর মাঝেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য।
আসানসোল: গত শনিবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Nazrul University) উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তীকে অপসারণ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রবিবার ছুটির পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা গেল। শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। সবাই এদিন সবুজ আবির খেলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তার পাশাপাশি একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
গত দু মাসের বেশি সময় ধরে আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চলছিল আন্দোলন। দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যকে বরখাস্ত করতে হবে বলেই আন্দোলন চলছিল। এর মাঝেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শনিবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ে দু’পক্ষকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। আন্দোলনকারীরা গেলেও সেদিন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর রাজ্যপালের কাছে যাননি। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল উপাচার্যকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
উপাচার্যকে বরখাস্ত করার খবর আসতেই সোমবার আনন্দ উচ্ছাসে মেতে ওঠে আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা। গত ১৩ মার্চ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধরনা অবস্থানে বসেন অধ্যাপক ও শিক্ষা কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। পরে সেই আন্দোলনে সামিল হয় পড়ুয়াদেরও একাংশ। এই আন্দোলনের মাঝে দু’বার উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এসে প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বাধায় দু’বারই তাঁকে ফিরে যেতে হয়। এই আন্দোলন তোলার আবেদন কর্ণপাত করেননি আন্দোলনকারীরা। তিনি আসানসোল উত্তর থানার পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি এপ্রিল মাসে গোটা পরিস্থিতির কথা বলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। লাগাতার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত উপাচার্য অপসারিত হলেন।
আন্দোলনকারীদের মন্তব্য রাহু বিদেয় হল। তবে অবশ্য এই ঘটনায় রাজ্য বনাম রাজ্যপালের নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল উপাচার্যকে অপসারণ করেছেন। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উপাচার্য বিভিন্ন দফতরের যোগাযোগ করেছেন এবং উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে খবর।