Sehgal Hossain: কার নামে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, কোর্টকে জানাল সিবিআই
Asansol: সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পত্তি সায়গলের স্ত্রী ও তাঁর মায়ের নামে রয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে সমস্ত তথ্য জানান।

আসানসোল: গরু পাচার মামলায় একদিকে যখন দিল্লিতে বারবার জামিনের আর্জি জানাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন। আসানসোল আদালতে তখন নতুন করে সায়গলের বেনামি সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই। কোটি কোটি টাকার জমি, যা নগদে কেনাবেচা হয়েছে বলে আদালতে জানাল সিবিআই। প্রায় ১৫ একর জমির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অথচ তার কোনও মেমো নেই, নেই কনফিগারেশন নোট। এ নিয়ে বীরভূমের জমি রেজিস্ট্রারের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে মনে করছেন বিচারক। শুক্রবার সিবিআই আদালতে এ সংক্রান্ত একাধিক নথি জমা পড়েছে। এদিন অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের ভার্চুয়াল শুনানির কথা থাকলেও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি বলে সূত্রের খবর। এর আগে ৩০ জুনও কথা থাকলেও হাজির করা যায়নি তাঁদের। এ নিয়ে বিরক্ত বিচারক তিহাড় কর্তৃপক্ষকে ইমেল করার কথা বলেন। ১০ অগস্ট যেন দু’জনকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়, সে কথাও বলেন। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের তথ্য দেখে বিচারক মন্তব্য করেন, প্রয়োজনে তিহাড়ে গিয়ে জেরা করা উচিৎ অনুব্রত-সায়গলকে।
সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পত্তি সায়গলের স্ত্রী ও তাঁর মায়ের নামে রয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে সমস্ত তথ্য জানান। শুধু জমি নয়, সিবিআইয়ের নজরে আছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমির দলিল, পেট্রোল পাম্প। এমনও তদন্তকারীদের দাবি, সায়গলের সম্পত্তির একটা বড় অংশ বীরভূমেরই একটি পেট্রোল পাম্পে খাটানো হয়েছে। এই নিয়ে সায়গলের মোট চারটি পেট্রোল পাম্পের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে শুধু সায়গল বা তাঁর মা, স্ত্রীর নামেই সম্পত্তি নয়, শ্যালকের নামেও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। একটি নির্মাণকারী সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআইয়ের বক্তব্যে উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও। এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার উল্লেখ আছে। সিবিআইয়ের দাবি, এই সংস্থার ডিরেক্টর পদে আছেন সুকন্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎবরণ গায়েন। সংস্থার ৯৩ শতাংশ শেয়ার সুকন্যার, ৭ শতাংশ বিদ্যুৎবরণের নামে। এই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই সাড়ে ৩ কোটির লেনদেন হয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। সিবিআইয়ের রিপোর্টে ‘ধর্মরাজ রাইস মিল’ নামে একটি চালকলের কথাও আছে।





