Durga Idol Face Stolen: মৃৎশিল্পীর ঘরে চোর! পুজোর সপ্তাহ আগেই উপড়ে নিয়ে গেল দুর্গা প্রতিমার মুখ
Durga Idol Face Stolen in Asansol: গোটা পাড়ার অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে কুমোরটুলি। সেখানেই মৃৎশিল্পী বাপি পালের কারখানা থেকে হঠাৎ উধাও দুর্গা প্রতিমার মুখ। আর যা ঘিরে শুক্রবার সাতসকালে ঢি পড়ে যায় এলাকায়। খোঁজাখুঁজি করতেই চুরি যাওয়া দু'টি দুর্গা প্রতিমার মুখ উদ্ধার হয় স্থানীয় আর এক মৃৎশিল্পী হরিরঞ্জন পালের কারখানা থেকে।

আসানসোল: দুর্গা প্রতিমার মুখ চুরি। সাতসকালে উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলের পাল পাড়ায়। কাঠামোর উপর থেকে উপড়ে নিয়ে গেল দু’টি দুর্গা প্রতিমার মুখ। ক্ষণিকের মধ্যেই পড়ে গেল শোরগোল। কে বা কারা এমন কাণ্ড ঘটাল সেই প্রশ্ন ঘিরেই তৈরি হল উত্তেজনা। উত্তর মিলল একটু সময় পর। যা আবারও চমকে দিল স্থানীয়দের।
ঘটনা আসানসোলের মহিশীলা কলোনির পাল পাড়ার। গোটা পাড়ার অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে মৃৎশিল্পীদের কারখানা। সেখানেই এক মৃৎশিল্পী বাপি পালের কারখানা থেকে হঠাৎ উধাও দুর্গা প্রতিমার মুখ। যা ঘিরে শুক্রবার সাতসকালে ঢি পড়ে যায় এলাকায়। খোঁজাখুঁজি করতেই চুরি যাওয়া দু’টি দুর্গা প্রতিমার মুখ উদ্ধার হয় স্থানীয় আর এক মৃৎশিল্পী হরিরঞ্জন পালের কারখানা থেকে। বাপি পাল ও হরিরঞ্জনের কারখানার মধ্যে ঢিল ছোড়া দূরত্ব বললেই চলে। তারপরেই ওই কারখানায় কর্মরত এক পরিযায়ী শ্রমিককে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। সন্দেহভাজন অভিযুক্তকে বেঁধে রাখা হয় বিদ্যুতের খুঁটিতে। পরে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
অভিযুক্তের নাম প্রীতম ঠাকুর। বাড়ি বিহারে। সেখান থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে এই রাজ্য়ে আসে সে। তারপর যোগ দেয় পাল পাড়ার হরিরঞ্জন পালের কারখানায়। কিন্তু কেন চুরি করতে গেল সে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। হরিরঞ্জন পালের দাবি, এই চুরির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কারখানায় দু’মাস হল কাজ করছে। চালচলন একটু অপ্রকৃতস্থ।
অন্যদিকে, দুর্গা প্রতিমার মুখ চুরি যাওয়ার নেপথ্য়ে ‘শিল্প চুরি’র দিকেই ইঙ্গিত করছেন বাপি পাল। তাঁর কথায়, ‘সকালে এসে দেখি ঠাকুরের মুখ চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। হরিপালের কাছে কাজ করে। পরবর্তীতে আমার কর্মীরা গিয়ে সেই মুখ উদ্ধার করে আনেন। আসলে এই মুখ গোটা পাল পাড়ায় কারওর কাছে নেই। একেবার অভিনব মুখে ছাঁচ। আর ওই ছাঁচকে হাতাতেই এরা চুরি করেছে।’
