Panipuri: ফুচকা খেয়ে যে এই হবে ভাবতে পারেনি কেউ! সকাল থেকেই বেহাল একের পর এক গ্রাম
Paschim Medinipur: এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন রায় বলছেন, “যতজন খেয়েছিল সবার এমন হয়েছে। আমার দুটো ছেলেরই একই অবস্থা। আমাদের গ্রামে যাঁরা যাঁরা ওই স্টলের ফুচকা খেয়েছিল তাঁদের সকলের হয়েছে। আশপাশের দু’টো গ্রামেরও একই অবস্থা।”

চন্দ্রকোনা: ফুচকা খেতে না খেতেই যে এ কাণ্ড হবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। একজন, দু’জন নয় একইসঙ্গে অসুস্থ একেবারে ৩৫ জন। তড়িঘড়ি অসুস্থদের নিয়ে আসা হল হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মাধবপুরের বেলগেড়িয়াতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি স্টল থেকেই প্রত্য়েকে খেয়েছিলেন ফুচকা। আর ২৪ ঘণ্টা গড়ানোর আগেই সকলেরই পায়খানা-বমি শুরু হয়ে যায়। একইসঙ্গে এতজনের অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই উঠে আসে ফুচকার কথা।
এই মুহূর্তে ১৫ জন ক্ষীরপাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা যাচ্ছে। বাকিদের গ্রামেই চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের বাড়ির লোকেদের বক্তব্য মঙ্গলবার যারা ফুচকা খেয়েছে গ্রামে শুধু তারাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁদের ধারনা ফুচকা বা জলের মধ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গোটা গ্রামেই বেড়েছে উদ্বেগ।
এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন রায় বলছেন, “যতজন খেয়েছিল সবার এমন হয়েছে। আমার দুটো ছেলেরই একই অবস্থা। আমাদের গ্রামে যাঁরা যাঁরা ওই স্টলের ফুচকা খেয়েছিল তাঁদের সকলের হয়েছে। আশপাশের দু’টো গ্রামেরও একই অবস্থা।” আর এক বাসিন্দা বলছেন, “সন্ধ্যায় খেয়েছিল। তারপর রাত থেকেই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায় আমার ছেলের। ওই ফুচকাতেই সমস্যা ছিল।” আর এক বাসিন্দাটা বলছেন, “ফুচকাওয়ালার থেকে ফুচকা খাওয়ার সময় কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। রাত থেকে সমস্যা শুরু হয়। সকাল থেকে অবস্থা আরও বেহাল হয়ে যায়। ফুচকার বিষক্রিয়াতেই এটা হয়েছে। আমার বউ আর মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি।”
