Medinipur: প্রকাশ্যে হাতাহাতিতে দুই জনপ্রতিনিধি, প্রকট তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
Medinipur TMC: কই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অতীতে বারবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ না করাতেই এমন পরিণতির শিকার হতে হল তাঁর মাকে। উল্টোদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দের অভিযোগ, এলাকার মানুষদের জন্য উন্নয়নের কাজ চাওয়াতেই পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারা আক্রান্ত হতে হল তাঁকে।

মেদিনীপুর: খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়ালে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। দুই জনপ্রতিনিধির মারপিটের ছবি রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই ঘটনার পর পঞ্চায়েত প্রধান দিপালী সিং এবং পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দে দুজনেই ভর্তি খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনার পরের দিনে হাসপাতালেও একে অপরের বিরুদ্ধে সরব। রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও সেই দলের নেত্রী হয়ে তাঁরাই ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। দলিত পরিবারের সদস্যরাও এ রাজ্যে কতটা সুরক্ষিত সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আক্রান্ত পঞ্চায়েত প্রধানের মেয়ে।
দিপালী সিং-এর মেয়ে স্মরণিকা সিং-এর দাবি, তাঁরা দলিত পরিবার থেকে আসা সত্ত্বেও আক্রান্ত হতে হল তাঁদের। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অনৈতিক কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁর মাকে। সেই অনৈতিক কাজের সমর্থন না করাতেই আক্রান্ত হতে হল তাঁদের। চরম নিরাপত্তাহীনতায় তাঁরা ভুগছেন বলেও দাবি করেছেন আক্রান্ত পঞ্চায়েত প্রধানের মেয়ে।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অতীতে বারবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ না করাতেই এমন পরিণতির শিকার হতে হল তাঁর মাকে। উল্টোদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দের অভিযোগ, এলাকার মানুষদের জন্য উন্নয়নের কাজ চাওয়াতেই পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারা আক্রান্ত হতে হল তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে বঞ্চনা করেছে প্রধান দিপালী সিং। বারংবার এলাকার উন্নয়নে কাজ চাওয়া হলেও প্রধান তাকে কাজ দেননি। উল্টে গতকাল তাকেই প্রথমে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সুজাতার। তবে তিনিও দাবি করছেন তিনি আতঙ্কে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝে এখন একটাই বিষয় বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, শাসকদলের দুই জনপ্রতিনিধি যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাহলে আদতে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়। জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা সন নিশ্চিত করতেও কি ব্যর্থ হচ্ছে সরকার! পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসের মধ্যে এ ধরনের মারধরের ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পঞ্চায়েত প্রধান দিপালী সিংয়ের তরফে খড়গপুর লোকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন আটক বা গ্রেফতারি নেই।ইতিমধ্যেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসের আধিকারিকরা।
পাশাপাশি দলের তরফেও পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি । এলাকার বিধায়ক তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এই বিষয় নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, দোষ করেছে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। দল তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ।
