Medinipur: রাত্রিবেলা গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একটার পর একটা দোকান
Medinipur: ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর শহরে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোতোয়ালি থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে সিপিআইএম। মেদিনীপুর শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুন্দন গোপের অভিযোগ, মেদিনীপুর শহরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম ঘটল। এ ধরনের ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি তোলা হয়েছে।
মেদিনীপুর: রাত্রিবেলায় যত কাণ্ড। বিদ্যুতের লাইন কেটে জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক দোকান। শুধু তাই নয়, বাধা দিতে গেলে রিভলবার দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের গোলাকুয়ারচক এলাকার।
এই এলাকায় রাস্তার ধারে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে পিছনের জায়গার মালিকের দীর্ঘদিন ধরেই আদালতে মামলা চলছিল। জায়গার মালিকের বক্তব্য ছিল,দোকানগুলি তাঁর জায়গার সামনের দিক ঘিরে রয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য,তাঁরা সরকারি খাস জায়গার উপর ব্যবসা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চললেও হঠাৎ করে এইভাবে শনিবার রাতের অন্ধকারে দোকানগুলি ভেঙে ফেলার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। থানা থেকে ঢিল দূরত্বের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও। প্রোমটারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিকেরা।
অন্যদিকে এই ঘটনার পেছনে শাসকদলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। পুলিশ ও পুরসভা সবই জানত এই ঘটনার বিষয়ে বলে দাবি বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাসের।
ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর শহরে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোতোয়ালি থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে সিপিআইএম। মেদিনীপুর শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুন্দন গোপের অভিযোগ, মেদিনীপুর শহরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম ঘটল। এ ধরনের ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি তোলা হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান। তিনি বলেন, “যারাই এভাবে রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে জোরপূর্বক দোকান ভেঙেছে তাদের ছাড়া যাবে না।” ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের তরফে কোতোয়ালী থানায় বরুণ সেন, নাজির আলী ও পারভেজ কিবরিয়া নামে তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালী পুলিশ।