Paschim Medinipur Chaos: চুল্লিতে দেহ দাহ করা নিয়ে দু’পাড়ার বিবাদ, ‘লাশ’ রাস্তায় ফেলেই চলল অবরোধ
Paschim Medinipur Chaos: বাইরের পাড়ার মৃতদেহ তাঁদের এলাকার শ্মশান চুল্লিতে দাহ করা যাবে না, এমনই দাবি তুলে প্রথমে মনোহরপুরে ঘাটাল-রানিচক রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামের শ্মশানে চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করাকে নিয়ে দুই পাড়ার বিবাদ। প্রতিবাদে রাস্তার ওপর মৃতদেহ রেখে পথ অবরোধ। পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে শেষমেশ দাহ করা হয় মৃতদেহ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার মনোহরপুরে।
জানা গিয়েছে,মনোহরপুর এলাকায় বাঙালপাড়ায় রয়েছে একটি শ্মশানচুল্লি। এদিন সকালে পাশের দত্তপাড়া থেকে একটি মৃতদেহ দাহ করার জন্য বাঙালপাড়ার ওই শ্মশান চুল্লিতে নিয়ে গেলে, তাতে বাধা দেন বেশ কয়েকজন। তাঁরা প্রত্যেকেই বাঙালপাড়ার বাসিন্দা বলে দাবি। বাইরের পাড়ার মৃতদেহ তাঁদের এলাকার শ্মশান চুল্লিতে দাহ করা যাবে না, এমনই দাবি তুলে প্রথমে মনোহরপুরে ঘাটাল-রানিচক রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা।
যার জেরে মৃতদেহ দাহ করার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। প্রতিবাদে পাল্টা রাস্তার উপর মৃতদেহ রেখে অবরোধ করেন দত্তপাড়ার বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধের জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ। কথা বলা হয় দুপক্ষের সঙ্গেই। তাঁদের দাবিদাওয়া শোনা হয়।
উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ। দাহ করা হয় মৃতদেহ। বাঙালপাড়ার বাসিন্দাদের দাবি,তাদের এলাকার শ্মশান চুল্লিতেই কেনো সমস্ত পাড়ার দেহ দাহ করা হবে? যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে প্রত্যেক পাড়াতেই শ্মশানচুল্লি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে মৃতদেহ দাহ করতে যাওয়া পরিবারের এক সদস্য বলেন,”বার্ধক্যজনিত কারণে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। পাশের পাড়ার শ্মশান চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। পাড়ায় যে চুল্লি ছিল তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই কারণে ওই গ্রামে গিয়েছিলাম।” বাঙালপাড়ার বাসিন্দারা সেই দাবি শুনতে চাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মৃতদের পরিবারের আরও দাবি, পঞ্চায়েতের প্রধানই তাঁদের জানিয়েছিলেন, পাশের পাড়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে শ্মশান চুল্লি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে দাহ করার জন্য। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।