Village: কোনও রকমে টিকে আছে ৪৮টা বাড়ি, গ্রাম জুড়ে শুধুই ‘নেই’ আর ‘নেই’
Village: আবাস যোজনার একটিও বাড়ি পর্যন্ত নেই এলাকায়। এলাকায় যাতায়াতের জন্য নেই কোনও নির্দিষ্ট রাস্তা। সবকিছু মিলিয়ে সমস্যায় জর্জরিত ধজিধোরা গ্রামের ৪৮টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন বাসিন্দা।
মেদিনীপুর: শুধু নেই আর নেই। কিছুই নেই। গ্রামের মধ্যে না আছে নির্দিষ্ট রাস্তা, না আছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নেই আবাস যোজনার একটাও বাড়ি, নেই বার্ধক্যভাতা। সবথেকে বড় নদী ভাঙন বন্ধ করার কোনও নির্দিষ্ট ব্যবস্থাও নেই। আর এইসব নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধজিধোরা এলাকার অবস্থা এটাই। ওই এলাকার সবথেকে বড় সমস্যা হল নদী ভাঙন। সেই ভাঙন এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে একের পর এক বাড়ি কার্যত উধাও হয়ে যাচ্ছে।
প্রায় ১০০ বাড়ি ছিল ওই এলাকায়। বর্তমান সময়ে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮টিতে। ইতিমধ্যেই অর্ধেকেরও বেশি গ্রাম চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। ভোট আসে, ভোট যায় নেতা-মন্ত্রীরা গ্রামে যান ভোটের সময়, কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলেই আর কারও দেখা পাওয়া যায় না। শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান সবাই।
আবাস যোজনার একটিও বাড়ি পর্যন্ত নেই এলাকায়। এলাকায় যাতায়াতের জন্য নেই কোনও নির্দিষ্ট রাস্তা। সবকিছু মিলিয়ে সমস্যায় জর্জরিত ধজিধোরা গ্রামের ৪৮টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন বাসিন্দা। এলাকার বাসিন্দারা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, বারবার শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে কিন্তু আজ অবধি সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। সমস্যা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, এই এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরে উন্নয়নের কোনও কাজই হয়নি। তাঁদের আরও দাবি, মানুষ কিছুটা বিজেপি সমর্থিত বলেই হয়ত এলাকার উন্নয়ন হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারকনাথ বেরাও এই সব অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। তবে পঞ্চায়েতের তরফে সেভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হল না কেন? কোনও নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।