Died 3: ডেবরায় সেপ্টিক ট্যাঙ্কে ৩ জনের দেহ, লুকানো ছিল চোলাইয়ের সামগ্রী
Debra: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (শিশু, নারী, জনকল্যাণ) শান্তি টুডুর কথায়, "আবগারি ওসি ইনচার্জকে খবর পেয়েই জানিয়েছি। যেসব জায়গায় চোলাই মদের ঠেক আছে, সেখানকার পরিবারগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। এরকম ঘটনা যেন না ঘটে। একটা ট্র্যাকিং সিস্টেম করতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। প্রশাসনকেও তৎপর হতে হবে।"
মেদিনীপুর: সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। ডেবরা থানা এলাকার ঘটনা। এলাকার লোকজনের দাবি, বাড়ির পাশে চৌবাচ্চার মতো করে রাখা সেপ্টিক ট্যাঙ্কে চোলাই মদের কারবারিদের সরঞ্জাম লুকানো থাকত। শনিবার সকালে সেই ট্যাঙ্কেই পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এরমধ্যে একজন নাবালকও আছে। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের চক রাধাবল্লভ গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই সেপ্টিক ট্যাঙ্কে নামে এক নাবালক। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও ওই নাবালক ওঠেনি। স্থানীয় বাসিন্দা মৌমিতা মণ্ডল বলেন, “সকালে বাড়িতে সকলেই কাজ করছিলাম। হঠাৎ শুনি চিৎকার, বাচ্চা পড়ে গিয়েছে। বাড়ির দু’জন নামে বাচ্চাটাকে তুলতে। তারাও আটকে পড়ে। গ্যাসের কারণে তিনজনই মারা গিয়েছে। কাউকে বাঁচানো যায়নি। ওনারা আসলে চোলাই মদের ব্যবসা করতেন। সেই থেকে কিছু কি না জানি না।”
স্থানীয় বাসিন্দা কানুরাম হাঁসদার কথায়, “ওখানে একটা চৌবাচ্চার মতো আছে। তাতে চোলাইয়ের জিনিস রাখা থাকত। তা তুলতে গিয়ে একটা বাচ্চা ছেলে বিপদে পড়ে। আসলে ওখানে তীব্র গ্যাস হয়েছিল। গ্যাসেই দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। এরপর আরও দু’জন নামে, ওরাও মারা যায়। চৌবাচ্চায় বিষাক্ত গ্যাস ছিল।”
ডেবরা থানায় পুলিশ খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয়। তিনজনকে উদ্ধার করে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (শিশু, নারী, জনকল্যাণ) শান্তি টুডুর কথায়, “আবগারি ওসি ইনচার্জকে খবর পেয়েই জানিয়েছি। যেসব জায়গায় চোলাই মদের ঠেক আছে, সেখানকার পরিবারগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। এরকম ঘটনা যেন না ঘটে। একটা ট্র্যাকিং সিস্টেম করতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। প্রশাসনকেও তৎপর হতে হবে।”