Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রথম ডোজ়ের জন্য কারও হাপিত্যেশ, কেউ ঘুরছেন দ্বিতীয়র খোঁজে! ভ্যাকসিন পেতে নাজেহাল

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর পর দু'দিন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকার পর রবিবার ফের ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) দেওয়া হয়।

প্রথম ডোজ়ের জন্য কারও হাপিত্যেশ, কেউ ঘুরছেন দ্বিতীয়র খোঁজে! ভ্যাকসিন পেতে নাজেহাল
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 25, 2021 | 7:05 PM

পূর্ব বর্ধমান: দু’দিন পর ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) এসেছে হাসপাতালে। তাতেও টানাটানি। সময় পার হলেও দ্বিতীয় ডোজ় না পেয়ে উদ্বেগ নিয়েই ফিরতে হয়েছে বহু মানুষকে। রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখা গেল এমনই ছবি।

বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পর পর দু’দিন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকার পর রবিবার ফের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তবে অনেক কম সংখ্যক মানুষকে এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে এলেও ভ্যাকসিন পাননি অনেকেই।

এদিন ৪০০ জনকে ভ‍্যাকসিনের কুপন দেওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় নেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছিলেন এদিন। কিন্তু ভ্যাকসিন নেই বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ইভিএম নিতে এসে হঠাৎই শরীর অস্থির করতে থাকে, গাড়ি অবধি তোলার আগেই সব শেষ!

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় নিতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমানের মানকর থেকে এসেছিলেন ৬৫ বছরের বুলু মণ্ডল। বর্ধমান শহরে তিনি গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন। বুলুদেবী বলেন, “আমি প্রথম ডোজ় নিয়েছি মানকর থেকে। রবিবার দ্বিতীয় ডোজ় নিতে এসে কুপন পেলাম না।” একই হতাশা বর্ধমান শহরের নতুনপল্লি এলাকার বাসিন্দা সৌভিক পালের গলাতেও। তাঁর কথায়, “আমার করোনা টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্য গত তিন-চারদিন ধরে ঘুরছি। অথচ পাচ্ছি না।”

যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম ডোজ়ের ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় নিয়ে নেওয়াই ভাল। ভ্যাকসিন মূলত দু’ ভাবে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক, করোনার মাঝারি আক্রমণ থেকে সুরক্ষা। দুই, করোনা প্রাণঘাতী আক্রমণ থেকে রক্ষা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রথম ডোজ়ের ২১ দিন পর করোনার প্রাণঘাতী আক্রমণ থেকে ১০০ শতাংশ রক্ষা পান প্রাপক। যা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। তবে মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনা তখনও ৩৫ শতাংশ থেকে যায়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিলে প্রাণঘাতী সংক্রমণের সম্ভাবনার পাশাপাশি মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনাও কমে।