AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mid-day meal: ‘হিসাব দেখাতে বাধ্য নই’, মিড ডে মিল নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

Irregularities in Mid-day meal: অভিযোগ উঠতেই কোনও নথি দেখাতে চাইচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডল। এমনকি স্কুল পরিচালন কমিটিকেও নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, কাগজে কিছু ভুল ত্রুটি ছিল। ঠিক হয়ে গিয়েছে। কোনও বেনিয়ম হয়নি। BDO অফিস থেকে ভিজিট করে গিয়েছে।

Mid-day meal: 'হিসাব দেখাতে বাধ্য নই', মিড ডে মিল নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
মিড ডে মিলে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2025 | 6:52 PM
Share

কাটোয়া: হিসাবে গরমিল। মিড ডে মিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা সরকারি অ্যাপে বেশি দেখিয়েই টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের কৈথন প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে আলাদা দু’টি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিডিও ও স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।

অভিযোগ উঠতেই কোনও নথি দেখাতে চাইচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডল। এমনকি স্কুল পরিচালন কমিটিকেও নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, কাগজে কিছু ভুল ত্রুটি ছিল। ঠিক হয়ে গিয়েছে। কোনও বেনিয়ম হয়নি। BDO অফিস থেকে ভিজিট করে গিয়েছে।

প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডল

কৈথন প্রাথমিক স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট পড়ুয়া ৬০১ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিদিনের পড়ুয়া উপস্থিতি সরকারি খাতায় অতিরিক্ত দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলেছেন। এছাড়াও স্কুলের অন্য শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রধান শিক্ষকের ব্যবহারে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, “বারবার হিসাব চেয়েও পাইনি। তিনি সবসময় বলতেন, হিসাব দেখাতে বাধ্য নই। তাই প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।” একই বক্তব্য স্কুল পরিচালন কমিটিরও।

এই বিষয়ে দাঁইহাট চক্রের স্কুল পরিদর্শক পিনাকী ঘোষের বক্তব্য, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে। আমি স্কুল পরিদর্শনে যাব। বিষয়টি জেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”