ছোট্ট ছেলের এত অভিমান! দিদি ওড়না গলায় জড়িয়েই…
Burdwan: মৃতের পিসি চম্পা মালিক জানান, প্রসূন ক্লাস ফাইভে পড়ত। সবার অলক্ষ্যে হঠাৎই সে তার দিদির ওড়না গলায় লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে দেয়।

মেমারি: মৃতের নাম প্রসূন মালিক। বয়স মাত্র ১১ বছর। মৃত কিশোরের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার উত্তর রাধাকান্তপুর এলাকায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য নাকি জেদ করতে থাকে প্রসূন। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল ঠাকুমার। আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি তাকে।
কিছুক্ষণ পরই ক্লাস ফাইভের ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দিদি-র ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রসূন। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি তাকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতেই মৃত্যু হয় তার।
মৃতের পিসি চম্পা মালিক জানান, প্রসূন ক্লাস ফাইভে পড়ত। সবার অলক্ষ্যে হঠাৎই সে তার দিদির ওড়না গলায় লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে দেয়। মৃতের বাবা দীপু মালিক জানান, প্রথমে ঠাকুমার অনুরোধ মেনে নিয়েছিল প্রসূন। পরে হঠাৎই সে অভিমানী হয়ে পড়ে। ঠাকুমা যখন গোবর কুড়িয়ে আনতে গিয়েছিল, সেই ফাঁকেই ওই কিশোর গলায় দড়ি দেয় বলে দাবি তার বাবার। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে।
