AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purbo Burdwan: ৫ জনের ৫ জন শিক্ষকই BLO! স্কুল চলবে কীভাবে? চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

Purbo Burdwan School: পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ২১২, শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। তার মধ্যে ৫ জনকেই BLO করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, " ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি পরিস্কার করে জানানো হয়েছে।  স্কুল চালানোর স্বার্থে কয়েকজন শিক্ষককে BLO থেকে বাদ দেওয়া হোক।"

Purbo Burdwan: ৫ জনের ৫ জন শিক্ষকই  BLO! স্কুল চলবে কীভাবে? চিন্তায় কর্তৃপক্ষ
স্কুলের পাঁচ শিক্ষকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2025 | 1:20 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক! পাঁচ জনকেই বিএলও(BLO ) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, পাঁচজনকেই এক সঙ্গে ট্রেনিংয়ে যেতে হলে বা BLO দ্বায়িত্ব পালনে যেতে গেলে,  বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল। বন্ধ থাকবে পঠন পাঠন। স্কুলে সামনেই রয়েছে পরীক্ষা, ছাত্রদের পড়ানো থেকে শুরু করে খাতা দেখা সবই তাঁদের দায়িত্ব। দেখতে হয় মিড ডে মিলও। এই অবস্থায় সবাইকেই BLO দায়িত্ব দেওয়ায় কীভাবে শিক্ষকরা স্কুল সামলাবে তা ভেবে উঠতে পারছেন না। মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন চরম সংশয়।

পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ২১২, শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। তার মধ্যে ৫ জনকেই BLO করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ” ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি পরিস্কার করে জানানো হয়েছে।  স্কুল চালানোর স্বার্থে কয়েকজন শিক্ষককে BLO থেকে বাদ দেওয়া হোক।”  কিন্তু এখনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্য এক শিক্ষক বলেন, সামনে তাঁদের প্রচুর চাপ রয়েছে, পরীক্ষা রয়েছে তাঁর ওপর। মিড ডে মিলের হিসাব কীভাবে সামলাবেন, স্কুলে পরীক্ষা পরিচালনা, খাতা দেখা কীভাবে সম্ভব, কিছুই বুঝতে পারছি না। এক অভিভাবক বলেন,  “সব শিক্ষকদের যদি তুলে নেওয়া হয় ভোটের কাজের জন্য তাহলে ছাত্রদের পড়াবে কে?” আরেক অভিভাবক বলেন, “এমনিতেই স্কুলে শিক্ষক কম। ছাত্র সামলানো থেকে শুরু করে স্কুলের সব দায়িত্ব তাঁদেরই পালন করতে হয়। সেভাবে অশিক্ষক কর্মী নেই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের কাজে যদি শিক্ষকরা চলে যায়, স্কুলের পরীক্ষার সময়টা বাচ্চাদের কী হবে বুঝতে পারছি না। এখানকার স্কুলের অভিভাবকদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা প্রাইভেট টিউটরের কাছে পাঠাবেন। ফলে স্কুলই ভরসা।”

মঙ্গলকোটের বিডিও অনামিত্র সোম ক্যামেরায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চান নি। তিনি জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী BLRO করা হয়েছে । তাঁর এ বিষয়ে কিছু করার নেই।