Bangladeshi Medicine: কাঁথির সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ! কীভাবে এল? উত্তর নেই স্বাস্থ্যভবনের কাছেও

Contai Hospital: "বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সম্পদ। ক্রয় বিক্রয় আইনত অপরাধ। " পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালে দেওয়া ওষুধের গায়ে এমন লেখা স্পষ্ট। নেই আইপি বা ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থার অনুমোদন। তাহলে এই ওষুধ কীভাবে দিচ্ছে রাজ্য সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগ?

Bangladeshi Medicine: কাঁথির সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ! কীভাবে এল? উত্তর নেই স্বাস্থ্যভবনের কাছেও
কাঁথির হাসপাতালে বাংলাদেশি ওষুধ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2022 | 11:49 PM

কাঁথি ও কলকাতা : বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ দেদার বিলোচ্ছে এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল। কীভাবে সম্ভব? উত্তর নেই। কোথা থেকে এল? জানে না স্বাস্থ্য ভবনও  (West Bengal Health Department)। জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে আজব কান্ডকারখানা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। “বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সম্পদ। ক্রয় বিক্রয় আইনত অপরাধ। ” পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালে দেওয়া ওষুধের গায়ে এমন লেখা স্পষ্ট। নেই আইপি বা ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থার অনুমোদন। তাহলে এই ওষুধ কীভাবে দিচ্ছে রাজ্য সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগ? জেলা স্বাস্থ্য কর্তা বলছেন, কলকাতা স্টোর থেকে তমলুক ডিস্ট্রিক স্টোর হয়ে মহকুমা হাসপাতালে ঢুকেছে বাংলাদেশি ওষুধ।

সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ ঘিরে জোর বিতর্ক। কলকাতা বা সীমান্ত সংলগ্ন কোনও এলাকা নয়, এ একেবারে পূর্ব মেদিনীপুরর ঘটনা। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ। কেন আমাদের দেশে সহজলভ্য হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে তৈরি ডক্সিসাইক্লিনের মতো বহুল প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক রোগীদের দেওয়া হয়েছে? সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ কতটা নিরাপদ কিংবা সরকারি হাসপাতাল থেকে এই ধরণের ওষুধ দেওয়ার সরকারি ছাড়পত্র রয়েছে কি না সে নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী ফোনে জানান, “বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে এই ওষুধ তমলুকের ডিস্ট্রিক্ট মেডিকেল স্টোর থেকে এসেছে। আর তমলুকে এই ওষুধ এসেছে রাজ্য মেডিকেল স্টোর থেকে। সম্ভবত ইয়াসের সময় বাংলাদেশ থেকে দুর্গতদের সাহায্যের জন্যে কিছু ওষুধ পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া কিছু ওষুধ হয়ত পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

এদিকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী TV9 বাংলাকে বলেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কালকের সকালের আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে সম্ভবত এটি সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর থেকে সাপ্লাই করা হয়েছে। কিন্তু কোন সোর্স থেকে পাওয়া গিয়েছে, তার এখনও সবিস্তার তথ্য পাওয়া যায় নি। সেটাই আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে খবর এসেছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান, “সম্ভবত এটা অন্য কোন সোর্স থেকে পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর এটা আমরা হয়ত ভারত সরকার থেকে পেয়েছি এবং ভারত সরকার সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে পেয়েছে। মনে হয় না এটার মধ্যে কোন অন্য অসুবিধা আছে। এটা সবই অনুমানের বিষয়। কোনওরকম নিশ্চিত করে বলতে পারব না কালকে দুপুরের আগে।”

আরও পড়ুন : CPIM party congress: নতুন মুখেই কি ভরসা, কান্নুরে পার্টি কংগ্রেসেই উত্তরের খোঁজ সিপিএমের