Suvendu Adhikari: ‘সামনে কে কী বলে শুনি না, আড়ালে কে কী বলে খবর রাখি…’, কেন বললেন শুভেন্দু?
BJP: শুভেন্দু অধিকারী দাবি করে বলেন, "প্রার্থীকে দেখার দরকার নেই, উপরে মোদীজী আর নিচে পদ্মফুল, এরাই আপনার প্রার্থী। এ লড়াই বাঁচার লড়াই" সেইসঙ্গে ২০২১-এ তমলুক সাংগঠনিক জেলায় যে কটি আসনে হার হয়েছিল, কেন হয়েছিল, তারও ব্যাখা দেন শুভেন্দু অধিকারী।

তমলুক: ‘দলের মধ্যে তুই বড় না আমি বড় ছাড়ুন, সোজা কথায় বললে, নেতাদের কথা শুনুন, বাঁকা কথা বললে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসুন।’ রবিবার বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজয়া সম্মিলনী থেকে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, পদাধিকারী হয়ে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করবেন না। উপেক্ষা করতে শিখতে হবে। শেখার কোনও শেষ নেই। সঙ্গে তিনি এও জানালেন, দলের আড়ালে কে কী করছেন তা সবটা খবর রাখেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করে বলেন, “প্রার্থীকে দেখার দরকার নেই, উপরে মোদীজী আর নিচে পদ্মফুল, এরাই আপনার প্রার্থী। এ লড়াই বাঁচার লড়াই” সেইসঙ্গে ২০২১-এ তমলুক সাংগঠনিক জেলায় যে কটি আসনে হার হয়েছিল, কেন হয়েছিল, তারও ব্যাখা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “আমি তখন কিছু বলতে পারিনি সেই সময়। সবে সবে এসেছি। আমার খুব কষ্ট হয়েছে। সেই সময় মেচেদার নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। প্রার্থী পছন্দ হয়নি তাই।”
এমনকী, এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্যামল মাইতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে হারাতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁরা পারেননি। তিনি বলেন, “আমায় এই খবর প্রথম জানিয়েছিলেন দলেরই কর্মী। তিনি বলেছিলেন আমায়, দাদা জেলা অফিসে যান। খবর খারাপ। নিজেই দেখুন। আমি তখন জেলা অফিসে গিয়েছিলাম। তখনই ধরে ফেলেছিলাম। আমি সব সময় সামনে কে কী বলে শুনি না। আড়ালে কে কী বলে খবর রাখি। সেই জন্য এই জেলায় ২ জন সাংসদ। আর বিধায়কও নরেন্দ্র মোদীকে দেব।”
প্রসঙ্গত, এই তাপসী মণ্ডল হলদিয়ার বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু বলেন, “আগামী দিনে তৃণমূলের এমন হাল করব একশো বছরেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
