EMID: দলীয় হুইপ মেনে হয়নি বোর্ড গঠন, চেয়ারম্যানের পর একে একে সদস্যদের পদত্যাগের পালা
EMID: গত ১৮ মে তমলুক টাউন ক্রেডিট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচন হয়। মোট আসন ৫৮ টি আসনে লড়াই হয়। সেই আসনের মধ্যে বিজেপি ২, নির্দল ১, তৃণমূল কংগ্রেস একক ৫৫ টি আসন পায়। জুন মাসে বোর্ড ডিরেক্টরদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়।

পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের দলীয় অনুশাসন মেনে হয়নি বোর্ড গঠন, এবার একে একে পদত্যাগ করা শুরু করলেন সদস্যরা! গত মে মাসের ১৮ তারিখ সবুজ আবির উড়েছিল তমলুক টাউন ক্রেডিট কো অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে। যদিও সেই নির্বাচনে শাসকের মধ্যেই ছিল লড়াই! এক গোষ্ঠী জোরপূর্বক নির্দল তকমা দিয়েছিল ওপর গোষ্ঠীকে। জয়লাভ করলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছিল বলে কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের। এবার তমলুক টাউন ক্রেডিট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন দলীয় হুইপ ও অনুশাসন মেনে হয়নি বলে রাজ্যে নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করলেন জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে তমলুক টাউন ক্রেডিট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচন হয়। মোট আসন ৫৮ টি আসনে লড়াই হয়। সেই আসনের মধ্যে বিজেপি ২, নির্দল ১, তৃণমূল কংগ্রেস একক ৫৫ টি আসন পায়। জুন মাসে বোর্ড ডিরেক্টরদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ ওঠে, সেই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের নির্দেশিকা মানা হয়নি। এরপর রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয়, এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাঁরা কমিটিতে রয়েছেন, প্রত্যেককে পদত্য়াগ করে নতুন করে কমিটি নির্বাচন করতে হবে। এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বেরও মনোমানিল্য শুরু হয়। দলের মধ্যে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে শুরু হয় পদত্যাগ প্রক্রিয়া। প্রথমে পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যান, বোর্ড মেম্বারসদের মধ্যে তিন জন পদত্যাগ করেন শুক্রবার।
ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ধস্তাধস্তি মারপিটের ঘটনা সামনে আসে। তার আগেই অবশ্য তৃণমূলের দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তমলুকের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোনীত প্রার্থী চন্দন ঘোড়াইকে তৃণমূলের প্যানেল থেকে বাদ দেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া। তারপরেই তৃণমূল সমর্থিত নির্দল হিসেবে নির্বাচন লড়েন চন্দন ঘোড়াই।
অপরদিকে চন্দন ঘোড়াই নির্দল হিসাবে জয়লাভ করেন। চন্দন গোড়াইয়ের জয় লাভের পরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেবশ্রী দাস মাইতি ফের প্রশ্ন তোলেন চঞ্চল খাঁড়ার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেছিলেন, তাঁদের জোর করে নির্দল তকমা দেওয়া হল। পুরো ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীদল বিজেপি।
তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত রায় বলেন, “বোর্ড গঠনে দলীয় হুইপ অমান্য করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবার বোর্ড মিটিং ডেকে সমবায় আইন অনুযায়ী পদত্যাগ করবে। দল যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী বোর্ড গঠন হবে।”
বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক মলয় সিনহা বলেন, “ভোটের পর থেকেই এই তরজা চলছে। কে কোন চেয়ারের দখল নেবে, তা নিয়েই লড়াই। এটাই তৃণমূলের স্বাভাবিক কালচার।”

