Nandigram: নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপি জোট? বিস্ফোরক অভিযোগ সিপিএমের
Nandigram: নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মনুচক সমবায় সমিতিতে আসন সংখ্যা ১২। মঙ্গলবার মনোনয়নের শেষ দিন ছিল বেলা দুটো পর্যন্ত মোট ১২টি আসনে মনোনয়ন জমা পড়েছে।

নন্দীগ্রাম: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে আক্রান্ত হয়েছেন, এদিকে শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামে কি তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সেটিং? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল সিপিএম। সমবায় ভোটে জোট বেঁধে বামেদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সিপিএমের দাবি, ১২ টি আসনে জোট বেঁধে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল বিজেপি। ৯ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বামেদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষই।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মনুচক সমবায় সমিতিতে আসন সংখ্যা ১২। মঙ্গলবার মনোনয়নের শেষ দিন ছিল বেলা দুটো পর্যন্ত মোট ১২টি আসনে মনোনয়ন জমা পড়েছে। সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে যেহেতু ১২ টি আসনের বারোটিতেই মনোনয়ন জমা পড়েছে সেহেতু আর এই সমিতিতে কোন ভোট প্রক্রিয়া হচ্ছে না। নথি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়াতে ১২ জনের নথিপত্র ঠিকঠাক থাকলে এই ১২ জনকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে!
সিপিএম নেতা মহাদেব ভুঁইয়া বলেন, “৭ জন প্রার্থী এসেছিলেন মনোনয়ন জমা করতে। কিন্তু তাঁদেরকে তৃণমূল বিজেপি একসঙ্গে বাধা দিয়েছে। তৃণমূলের যারা রয়েছে, তারা মারতে মারতে বার করে দিয়েছে।”
তৃণমূলের নেতৃত্ব জানিয়েছে, সমবায় সমিতি অরাজনৈতিক সংস্থা। সেখানে ওই সমিতির যে সমস্ত শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন, তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা যদি নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নেন, এ বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কোন মতামত থাকতে পারে না। তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি শেখ আলরাজি বলেন, “সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির লড়াই জোর কদমে হয়েছিল। আমরা পেয়েছিলাম ৪টে, ওরা পেয়েছিল ৮টা। সিপিএম মনোনয়নপত্র জমাও দেয়। তারপর বিজেপির সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বিজেপিকে জিততে সহযোগিতা করেছিল। সিপিএমের পুরো ভোটটা বিজেপিতে গিয়েছিল।”
বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তাঁদের পক্ষ থেকে ৯ টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। বাদবাকি তিনটি অন্যান্য রাজনৈতিক দল দিয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়া বলেন, “ভেকুটিয়া অঞ্চলের সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে অংশ নিয়েছে। তারপরও যদিও কেউ বলে, আমাদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি, তার মানে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।”

