Swasthya Sathi: দুই কিডনিই বিকল, সাহায্য মিলছে না স্বাস্থ্যসাথীতেও, অভিষেককে বললেন, ‘আমি বাঁচতে চাই’

Purba Medinipur: দীর্ঘ আট বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ওই ব্যক্তি।

Swasthya Sathi: দুই কিডনিই বিকল, সাহায্য মিলছে না স্বাস্থ্যসাথীতেও, অভিষেককে বললেন, 'আমি বাঁচতে চাই'
অসুস্থ গণেশ মণ্ডল ও তাঁর পরিবার (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2022 | 5:18 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: সরকারি নির্দেশিকা বা হুঁশিয়ারই সার! স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা স্বত্ত্বেও নার্সিংহোমের দরজায় দরজায় ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগী ও তাঁর পরিবার। তাই আবারও প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের পরিষেবা। রাজ্য সরকার ফলাও করে বলছে রাজ্যের মানুষের জন্য সরকার বিভিন্ন ভাবে উন্নয়ন মূলক কাজ করছে। অবশ্যই জনমুখী প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে। কিন্তু কতটা উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ? রাজ্যের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে যে পরিষেবা তার পূর্ণ নজরদারির অভাব ঘটছে বারবার।

রইল ঘটনার বিবরণ

তেমনি একটি ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের হরিদাসপুরের টুল্যা গ্রামের। সেখানে ৪০বছর বয়সী গণেশ মণ্ডল। সংসারে তাঁর মা, আট বছরের এক সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। দীর্ঘ আট বছর ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাঁর দুটো কিডনি নষ্ট। যার ফলে অনেক বছর ধরে চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচার কঠিন লড়াইটা চালিয়ে গেলেও আর্থিক সমস্যাই তাঁর চিকিৎসার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ধীরে-ধীরে আরও অসুস্থ হতে শুরু করেন গণেশবাবু। বাড়িতে থাকা অবস্থায় নাক-মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে শুরু করলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে তমলুকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কলকাতার নীলরতন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। টানা এগারো দিন ধরে চলে চিকিৎসা। পরে বিভিন্ন পরীক্ষার পর গণেশবাবু জানতে পারেন আইটিপি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। যার চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা। তাঁকে যে ইনঞ্জেকশন দিতে হয় সেই এক একটির মূল্যই প্রায় ১ লাখ ৭০হাজার টাকা।

তবে  ইঞ্জেকশন নীলরতন হাসপাতালে সাপ্লাই না থাকার জন্য গণেশ মণ্ডলকে স্বেচ্ছায় বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নীলরতন হাসপাতাল। যার জেরে নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় কিডনি আক্রান্ত অসুস্থ মানুষটিকে। তবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কিন্তু ছিল গণেশবাবুর। তা সত্ত্বেও ওই ইঞ্জেকশন এর জন্য ছাড় মেলেনি কোথাও।

ইতিমধ্যে, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর চিঠি নিয়ে এসএসকেএমে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। তবে গ্রাহ্য হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রীর চিঠিও এমনটাই অভিযোগ। ফলে অসহায় বোধ করতে শুরু করে ওই পরিবার। এখন চোখের জলে বাঁচার তাগিদে হাত জোড় করে আর্থিক সহযোগিতার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন গণেশ মণ্ডল ও তাঁর পরিবার। সরকার যদি মুখ তুলে না থাকায় তবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে হবে মানুষটিকে।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh Assembly Election 2022: আট বছর পর প্রথম সংখ্যালঘু প্রার্থী বাছল এনডিএ, কে এই হায়দার আলি?