Puri: ‘বলেছিল পুরীর জগন্নাথ দর্শন করে ফিরব…আর ফিরল না, ওইখানেই মারা গেল’

Bus Accident: মৃত তিনজনের মধ্যে একজন নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। নাম বর্ণালী দাস বেরা। অপরজন অচিন্ত মাইতি। তাঁর বাড়ি এগরা থানার দুবদা গ্রামে। এছাড়াও চণ্ডিপুরের বাসিন্দা মলয় ঘোষ রয়েছেন বলে খবর। মৃত বর্ণালীর পরিবার সূত্রে খবর, স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী চন্দন বেরা চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু ডাক্তার দেখিয়ে আর ফিরতে পারেননি। মৃত্যু হয় স্ত্রী-র। গুরুতর আহত তাঁর স্বামী।

Puri: 'বলেছিল পুরীর জগন্নাথ দর্শন করে ফিরব...আর ফিরল না, ওইখানেই মারা গেল'
বর্ণালী দাস বেরা ও চন্দন দাস বেরাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2024 | 12:41 PM

নন্দীগ্রাম: মাঝরাস্তায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে কলকাতাগামী বাস। সোমবার রাতে ওড়িশা থেকে কলকাতায় ফেরার পথে জজপুর জেলায় জাতীয় সড়কের উপর একটি সেতু থেকে নীচে পড়ে যায় বাসটি। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় বাংলার তিরিশ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৪ জনকে কটক মেডিক্যাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনও কটক মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানানো হয়নি।

মৃত তিনজনের মধ্যে একজন নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। নাম বর্ণালী দাস বেরা। অপরজন অচিন্ত মাইতি। তাঁর বাড়ি এগরা থানার দুবদা গ্রামে। এছাড়াও চণ্ডিপুরের বাসিন্দা মলয় ঘোষ রয়েছেন বলে খবর। মৃত বর্ণালীর পরিবার সূত্রে খবর, স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী চন্দন বেরা চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু ডাক্তার দেখিয়ে আর ফিরতে পারেননি। মৃত্যু হয় স্ত্রী-র। গুরুতর আহত তাঁর স্বামী।

মৃতের আত্মীয় জানান, “সকাল পৌনে আটটায় খবর পাই আমার পিসিমার ছেলে চন্দন ওর স্ত্রীকে নিয়ে এইমসে গিয়েছিল। বিকেলে ওরা রওনা নিয়ে পৌঁছে যায় পরের দিন সকালে। তারপরের দিন ডাক্তার দেখিয়ে বেরিয়ে আসে ডাক্তার দেখানোর পর। বৌমা এরপর ফোন করে প্রতিবেশীকে জানান। পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে বাড়ি ফিরব। এরপর ওরা জগন্নাথ দর্শন করে বিকেল চারটে নাগাদ জজপুর আসছিল। সেই সময় ওভারব্রিজে বাস উল্টে যায়। প্রথমে বৌমার বডি খুঁজে পাচ্ছিল না। ওইখানেই মারা গিয়েছে। ভাই চন্দন হাত ভেঙে গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। হাতের যন্ত্রণায় ছটফট করছে খুব।”

এ দিকে, ১৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে র‌ওনা হয়েছেন রাজ্যের আধিকারিকেরা। পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রোগীদের। মেদিনীপুরে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে প্রয়োজনে আহতদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করার ভাবনা রয়েছে।