Soumendu Adhikari: হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি সৌমেন্দুর, খারিজ প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতির মামলা

Calcutta High Court: মামলাকারী আবু সোহেল বলছেন, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ও আইনগত ত্রুটি কারণে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তিনি যে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মামলাকারী।

Soumendu Adhikari: হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি সৌমেন্দুর, খারিজ প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতির মামলা
সৌমেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 10:22 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: হাইকোর্টে আপাতত স্বস্তি সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari)। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির মামলা ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং তৈরির কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন আইনজীবী আবু সোহেল। আদালতের এই নির্দেশের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি সৌমেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে মামলাকারী আবু সোহেল বলছেন, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ও আইনগত ত্রুটি কারণে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তিনি যে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মামলাকারী।

উল্লেখ্য, এই মামলার তদন্ত শুরুর পর কাঁথি থানার পুলিশ একাধিকবার সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে’কে একাধিকবার কলেজে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় তদন্তকারীরা। কলেজের বেশ কিছু নথিও সংগ্রহ করা হয়েছিল। তদন্তের জন্য জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝির নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলাশাসক স্বেতা আগরওয়াল সহ একাধিক আধিকারিকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্তের রিপোর্ট কলকাতার হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর সৌমেন্দু অধিকারী বলেন,  ‘কাঁথি পুর ভোটের আগেই কাঁথি আদালত থেকে কাঁথি থানায় কলেজ বিল্ডিং দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। আবু সোহেল নামে এক ব্যক্তি এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আমি রিলিফ পাই। কাঁথি কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে’কে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে নামে গভীর রাত পর্যন্ত বসিয়ে রেখেছে। কোনও একটা অভিযোগের সারবত্তা না দেখেই অভিযোগ দায়ের করার একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মামলাকারী তথা আইনজীবী আবু সোহেল আবার বলেন, ‘কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ও আইনগত ত্রুটি কারণে এমন রায় দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সেই মামলাটি কোয়াস করেছেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও যাব। এই গ্রাউন্ডও বিচারপতি রেখেছেন, যে তাতে জেলা শাসক আবারও তদন্ত করবেন এই মামলায়।’