SSC Case Verdict: ‘যখন কিছু লোকের সংসার ভেসে যাচ্ছে…’, গাঙ্গুলিকে কড়া আক্রমণ দেবাংশুর
Abhijit Ganguly: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিশানা করে দেবাংশু বললেন, "মানুষের চাকরি যাচ্ছে। কত কত ছেলে-মেয়েরা অসহায় হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলেন, সেই চিন্তা যখন আমরা করছি... তখন তিনি আনন্দে ফুর্তি করছেন। যখন কিছু লোকের সংসার ভেসে যাচ্ছে, তখন তিনি বর্গভীমা মন্দিরে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে বলছেন... মা গো কী ভাল কাজ করেছো।"

তমলুক: এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২২ হাজারের। আর এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি এখন বিজেপির প্রার্থী। তমলুক থেকে ভোটে লড়ছেন। এবার বিজেপির অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে এক হাত নিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিশানা করে দেবাংশু বললেন, “মানুষের চাকরি যাচ্ছে। কত কত ছেলে-মেয়েরা অসহায় হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলেন, সেই চিন্তা যখন আমরা করছি… তখন তিনি আনন্দে ফুর্তি করছেন। যখন কিছু লোকের সংসার ভেসে যাচ্ছে, তখন তিনি বর্গভীমা মন্দিরে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে বলছেন… মা গো কী ভাল কাজ করেছো।”
উল্লেখ্য, আজই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি নিয়োগ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল। আদালতের এই নির্দেশে কাজ হারাতে বসেছে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন চাকরিহারাদের পাশে থাকার। হাইকোর্টের নির্দেশনামাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনও জানিয়েছে, তারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে।
এমন অবস্থায় এবার তমলুকের তৃণমূল প্রার্থীর নিশানায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎবাবু আদালতের রায় প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘এটা আনন্দের, কিন্তু আজ আমরা সেই আনন্দ প্রকাশ করতে পারছি না। আদালতের আদেশ মেনে নিতে হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় ছিল না যে স্বস্তি বা অস্বস্তিবোধ করব। আমার খারাপ লাগা রয়েছে কারণ এতদিন যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।’ পাশাপাশি, পুনর্মূল্যায়নের পর যে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাবেন, সেই আশাও রয়েছে তাঁর মনে।





