Suvendu Adhikari: এবার পুজোয় মদ বিক্রি করে হাজার কোটি মুনাফা লক্ষ্য রাজ্যের, কাঁথিতে দাবি শুভেন্দুর
Purba Medinipur: নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, এ রাজ্যে চাকরি নেই, এদিক ওদিক খরচের টাকা রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: পুজোর প্রতিটি ক্লাবকে ৬০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সোমবার কাঁথিতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দুর খোঁচা, পুজোর সময় কোটি কোটি টাকার মদ বিক্রি করে রাজ্য। সেই টাকার জন্যই ক্লাবগুলির পিছনে ২৬০ কোটি খরচ করতে পারছে। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, এ রাজ্যে চাকরি নেই, এদিক ওদিক খরচের টাকা রয়েছে। এবার পুজোয় হাজার কোটি টাকা মদ বিক্রির লক্ষ্য রাজ্যের, দাবি শুভেন্দুর। পাল্টা তৃণমূলের সুপ্রকাশ গিরি বলেন, বাঙালির আবেগ দুর্গাপুজো। দেশের যা অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে বোঝা ছাড়া আর তো কিছুই নেই। পুজোয় রাজ্য সরকার সাহায্য করলে তাতে এসব ভিত্তিহীন কথা বলে কেন্দ্রের দোষ ঢাকা পড়বে না।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস একটাও চাকরি দিতে পারবে না। তার কারণ, পশ্চিমবঙ্গে কোনও টাকা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬০ কোটি টাকা পুজোতে দিচ্ছেন। ১ হাজার কোটি টাকার মদ খাওয়াবেন। গতবার ২৪০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ১০০ কোটির মদ বিক্রি হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা মদ বিক্রির হাজার কোটি। তাই মেয়েদের, বোনেদের বলব, এই মদের জন্য যাঁরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হন, সবথেকে বেশি কষ্টে থাকেন, সতর্ক থাকুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপক মদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। মদের টাকা থেকে টাকা বিলি করার জন্য।”
যদিও এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “শুভেন্দুবাবুর এই একটা সমস্যা হয়েছে। কখনও বলছেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আবার দুর্গাপুজোয় যখন সরকার উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তখন অন্য সুর। আমাদের নেত্রী সবসময় চান কোনও পুজো যাতে না বন্ধ হয়ে যায়। গত দু’বছরে কোভিড পরিস্থিতির কারণে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে পকেটে টাকা নেই। পুজো তো সর্বজনীন। সবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই একটা পুজো হয়। আর দেশের যা অবস্থা করে রেখেছে, যা অর্থনৈতিক অবস্থা, মানুষের উপর যে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে মানুষের পকেটে টাকা নেই যে পুজো করবে। অনেকে পিছিয়ে আসছে। তাই আজ রাজ্য সরকার পুজো যাতে না বন্ধ হয় তার জন্য সাহায্য করছে। শুভেন্দুবাবু সবেতেই অন্য গন্ধ পান। আসলে উনি হয়তো এসব নিয়েই অভ্যস্ত। দুর্গাপুজোয় টাকা দিতে গেলে মদ বিক্রি করে দিতে হবে এটা ওনার কালচারে পড়ে, তৃণমূলের কালচারে পড়ে না।”