Purulia: সীমানা সিল হতেই বিপাকে ট্রাক চালকরা, বাড়ছে ক্ষোভ
Purulia: রাজ্যের একাধিক জেলায় কার্যত বন্যা পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁশকুড়া, উদয়নারায়ণপুরে প্লাবন দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি এই জল-যন্ত্রণার দায় ডিভিসির উপরই দিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছিলেন, বিভিন্ন নদীর জল বেড়ে সড়কে চলে আসছে।
পুরুলিয়া: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই পুরুলিয়া সীমানা সিল করল জেলা পুলিশ। জেলার একাধিক থানা এলাকার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের যোগ থাকা নাকা পয়েন্ট সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এর ফলে রাত থেকে কয়েকশো পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ঢুকতে পারছে না গাড়ি। পুরুলিয়া জেলার ৩৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমানা এলাকা থাকায় ঝাড়খণ্ড থেকে আসা লরি জেলায় ঢুকতে পারেনি। লোহার জিনিস ধানবাদ থেকে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়প্রকাশ গিরি। তিনি বলেন, “রাজ্য হোক বা কেন্দ্র সরকার, কোনও কিছু হলেই ট্রাকের উপর এসে রাগটা পড়ে। কেন যে হয়, জানি না। আমাদের পেটে লাথি মেরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? বাস যায়, অন্যান্য যানবাহন যায়। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। আটকাচ্ছে শুধু ট্রাক। এসব অন্যায়।”
রাজ্যের একাধিক জেলায় কার্যত বন্যা পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁশকুড়া, উদয়নারায়ণপুরে প্লাবন দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি এই জল-যন্ত্রণার দায় ডিভিসির উপরই দিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছিলেন, বিভিন্ন নদীর জল বেড়ে সড়কে চলে আসছে। হাইওয়েতেও অনেক জায়গায় জল উঠে গিয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঝাড়খণ্ডের বর্ডার তাই তিনদিন সিল করারও নির্দেশ দেন।
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতিপ্রিয় সিং মাহাতো বলেন, “এ সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ। তাই এসব নাটক চলছে। আরজি করের ঘটনা, রাজ্যপুলিশকে নিয়ে মানুষের যে প্রতিক্রিয়া সামনে আসছে, সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে। আমরা তো জানতাম বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দফতর তো পূর্বাভাস দিয়েছিল। প্রতি বছরই তো বন্যা হয়। সতর্ক হন না কেন মুখ্যমন্ত্রী? উনি কোনও কিছু হলেই কেন্দ্রকে দোষারোপ করেন। এর বাইরে আর কিছুই পারেন না। এভাবে রাজ্য চলে না।”