West Bengal Panchayat Elections 2023: ভোট পর্ব মিটেছে, কিন্তু অভিযোগ থামছে না! কাকদ্বীপে শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার সিপিএম
West Bengal Panchayat Elections 2023: এছাড়া ওই পঞ্চায়েতে পুর্নর্নিবাচনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হতে চলেছে। দলের পক্ষ থেকেও আইনি পথে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের কাকদ্বীপ এরিয়া কমিটির সম্পাদক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও কিছুতেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিরোধী প্রার্থীদের গণনা কেন্দ্রে জোর করে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের অভিযোগ, গণনার মাঝপথে কেন্দ্রের ভেতর থেকে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে অধিকাংশকে বের করে দেয়। অনেকে আবার গণনার শেষ পর্যন্ত থাকলেও তাঁদেরকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সময় বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতেও দেওয়া হয়নি। ওই প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনকে মেইল করে জানিয়েছেন।
এছাড়া ওই পঞ্চায়েতে পুর্নর্নিবাচনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হতে চলেছে। দলের পক্ষ থেকেও আইনি পথে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের কাকদ্বীপ এরিয়া কমিটির সম্পাদক। তবে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সিপিএমের কাকদ্বীপ এরিয়া কমিটির সম্পাদক নারায়ণ দাস বলেন, “কাউন্টিং যেখানে চলছিল, সেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। নেতাজি ১৮১ নম্বর বুথ মানিকচক ব্লকে আমাদের প্রার্থী জিতছিল। কিন্তু তারমধ্যেই বিভিন্ন দলের লোক ঢুকে পড়ে। ঝামেলা শুরু করে।”
সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আজাহারউদ্দিন মোল্লা বলেন, “কাউন্টিংয়ের দিন তৃণমূলের কিছু লোক এসে বলল প্রাণে মেরে দেব। বলল, মরার ইচ্ছা থাকলে গণনাকেন্দ্রে থাক, না হলে বাড়ি যা। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। গুন্ডাবাহিনী ঠেলে গুঁতিয়ে মারধর করে বাইরে বার করে দিল। বিডিওকে জানাতে যাচ্ছিলাম। আমাদের ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বার করে দেয় ওরা।”