Baruipur: এই জায়গায় পুকুর ছিল, দেখতে পাচ্ছেন?
Baruipur: জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে বারুইপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার পয়লা ডাঙায় মাটি ফেলে চলছিল বিশাল বড় একটি ডোবা ভরাটের কাজ।
বারুইপুর: রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাটের অভিযোগ। একবার নয়, একাধিকবার সেই অভিযোগ করছিলেন এলাকাবাসী। এমনকী এলাকার পুরমাতাকেও অভিযোগ জানায় তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় পৌঁছন সঙ্গীত কয়াল। পুলিশ পাঠিয়ে ভরাট রোখেন তিনি। বারুইপুর পুরসভা এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে বারুইপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার পয়লা ডাঙায় মাটি ফেলে চলছিল বিশাল বড় একটি ডোবা ভরাটের কাজ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বর্ষায় ওই এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। রাস্তার জল অনেক সময় ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তবে পাশের বড় ডোবাটি থাকায় জল আবার বেরিয়ে যায়। সেই ডোবাটিই ভরাট হলে জল বেরবার পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। যার জেরে বিপাকে পড়বেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,মূলত রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই প্রোমোটিং করার উদ্দেশ্যে সেই ডোবাটি ভরাট করার কাজ শুরু হয়েছিল। বাসিন্দাদের আপত্তি সত্ত্বেও সেই কাজ বন্ধ হয়নি। এরপর এলাকায় তৎপর হন বারুইপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা সংগীতা কয়াল মণ্ডল। রীতিমতো পুলিশ পাঠিয়ে,চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এই পুকুর ভরাট রোখেন তিনি। এই উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এসডিপিও অফিসের ঠিক উল্টো দিকে এই ডোবা অবস্থিত। আইনত এই ডোবা ভরাট করা অপরাধ। যখন দেখি মাটিগুলো ফেলা হচ্ছে তখন আমি বুঝতে পারি। রাত্রিবেলাই মাটি ফেলছে। তাই দেখে সন্দেহ করে পুলিশ ডাকি। আমরা চাই জলাভূমি ভরাট না করে পরিষ্কার করা হোক।” কাউন্সিলর সঙ্গীত কয়াল বলেন, “আমি যখনই মাটি ভরাটের খবর পেয়েছি আমার দলের ছেলেদের পাঠিয়ে এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ করে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করালাম।”