AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kakdwip: সন্ধ্যায় গ্রেফতার, দুপুরে জামিন! শিক্ষক পেটানোর পর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন TMC নেতার

Kakdwip Attacked On Teacher: বুধবারের ঘটনা! দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। তাতে ধরা পড়ে ভয়ঙ্কর ছবি। স্কুলের মধ্যে পড়ুয়াদের সামনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দিচ্ছেন একজন বহিরাগত। তিনি স্কুলের কেউ নন।

Kakdwip: সন্ধ্যায় গ্রেফতার, দুপুরে জামিন! শিক্ষক পেটানোর পর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন TMC নেতার
ডান দিকের ওপরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নীচে আক্রান্ত শিক্ষকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2025 | 5:43 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাকদ্বীপের স্কুলে শিক্ষক পেটানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। সেই শাসকনেতা গ্রেফতারির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অনায়াসে জামিন পান। অভিযুক্ত ত্রিদিব বারুই এখন জামিনে মুক্ত। আতঙ্কে রয়েছেন স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষক। তিনি বলছেন, “এত তাড়াতাড়ি জামিন পাবেন, ভাবিনি। আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশ লঘু ধারায় মামলা দেওয়ায় জামিন পেয়েছেন।”

বুধবারের ঘটনা! দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। তাতে ধরা পড়ে ভয়ঙ্কর ছবি। স্কুলের মধ্যে পড়ুয়াদের সামনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দিচ্ছেন একজন বহিরাগত। তিনি স্কুলের কেউ নন। ঘটনার সূত্রপাত স্কুলের ভ্রমণের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে। পরিচালন সমিতিকে না জানিয়ে কেন ভ্রমণের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে, এই দাবি জানিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি পালের উপর চড়াও হন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ত্রিদিব বারুই।

যদিও বিতর্ক দানা বাঁধতেই অভিযুক্ত ত্রিদিব বারুই যুক্তি দেখান, আসলে ওই শিক্ষকই তাঁকে মারার চেষ্টা করছিলেন। তিনি প্রতিহত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কীভাবে স্কুলের মধ্যে ঢুকে একজন এভাবে শিক্ষকের ওপর চড়াও হতে পারেন। বিতর্ক দানা বাঁধতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু ১২ ঘণ্টা কাটার আগেই আবার জামিনও পেয়ে গেলেন তিনি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি চাপের মুখে পড়েই গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই তৃণমূল নেতাকে?

আতঙ্কে ভুগছেন ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, “উনি প্রভাবশালী। সুতরাং প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে তো এই ধরনের ঘটনাগুলো হয়েই থাকে। রাজনৈতিক সদস্য। রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাত তো রয়েছে। সেই কারণেই এই উত্তরণ, আগ্রাসী মনোভাব। সত্যিই অপ্রত্যাশিত এত দ্রুত বেল পাওয়া। পুলিশ এত লঘু ধারায় মামলা দিয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।”