Containment Zone: সোনারপুরেও একাধিক মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন, কোভিড বিধি না মানায় গ্রেফতার ৩২
South 24 Pargana: ইতিমধ্যেই রাতের বিধিনিষেধে জোর দিয়েছে সোনারপুরের পুরপ্রশাসন। রাতে চলছে পুলিশি টহলদারি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুজো শেষ। কিন্তু নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। দেশে গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও রাজ্যে ক্রমেই চিন্তা ধরাচ্ছে মারণ সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফের রাতের বিধিনিষেধের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কড়া হাতে কনটেইনমেন্ট জ়োনের (Containment Zone) নির্দেশ মুখ্যসচিবের। রাজ্য জুড়ে অনেকগুলি জায়গায় কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বার, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৯ টি ওয়ার্ডে ঘোষণা করা হল মাইক্রোকনটেইনমেন্ট জ়োন (Micro Containment Zone)।
পুরসভা সূত্রে খবর, ১, ৬, ২৯. ৩১, ৩২, ১১, ১২, ১৫, ১৬, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকায় মাইক্রোকনটেইন মেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ পুরসভার বলে খবর সূত্রের। উত্সব শেষের পর থেকেই সোনারপুরের ওই এলাকাগুলিতে ক্রমেই বেড়েছে সংক্রমণ। যার ফলে ওই এলাকাগুলিকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন (Micro Containment Zone) ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
এই সমস্ত এলাকাগুলিতে কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবার জন্য ওষুধের দোকান ও মুদির দোকান খোলা থাকবে। বাজার-দোকান খোলা যাবে না। চলবে না কোনও জমায়েত। বাইরের কোনও লোকও এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলবে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার কথায়, “পুজোর সময়ে অনেকেই মুখে মাস্ক না দিয়ে ঘুরেছে। কখন কোথা থেকে সংক্রমণ হয়েছে কে কী বলবে! এখন যা হয়েছে তা ঠিকই হয়েছে। তবে কনটেইনমেন্ট জ়োন হওয়ায় কিছু তো অসুবিধা হবে। লোকজন কিছুটা হলেও সর্তক হয়েছে এই যা ভাল।”
ইতিমধ্যেই রাতের বিধিনিষেধে জোর দিয়েছে সোনারপুরের পুরপ্রশাসন। রাতে চলছে পুলিশি টহলদারি। সোনারপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালানোর পর কোভিড বিধি না মানায় মোট ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাস্ক ব্যবহার না করার জন্যই গ্রেফতার বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। পাশাপাশি, গোটা এলাকাজুড়ে সতর্কতা মূলক প্রচার করেন সোনারপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জীব চক্রবর্তী।
রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, আবার রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কড়াকড়িভাবে রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে। এছাড়া ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোর জন্য জেলাশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, এখনও করোনা আক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কলকাতায় আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে বটে। তবে সেদিকে কড়া নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি জেলায় টিকাকরণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে জেলা শাসকদের। একই সঙ্গে করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির দিকেও জোর দিতে বলেন দ্বিবেদী।
এই প্রেক্ষিতে বৈঠকে মুখ্যসচিব টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি যে অঞ্চলগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেনছ। যাতে পুনরায় সংক্রমণ না বাড়ে তাই এই নির্দেশ। জেলা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব এও বলেন, তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) এর ইঙ্গিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে। ভেন্টিলেশন বাড়ানো, বেড বাড়ানো, আক্রান্ত শিশুদের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে বলেন মুখ্য়সচিব।
তাছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র মজুত আছে এবং কোন কোন ওষুধপত্রের প্রয়োজন রয়েছে তার তালিকা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের বলা হয়েছে। এছাড়া এদিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এও জানান, নোডাল অফিসার দিয়ে এলাকাভিত্তিক করোনা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জেলাশাসক ও আধিকারিকদের জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
আরও পড়ুন: TMC: পদ একটাই, দাবিদার দুই, পোস্টারেই কোন্দলে শান তৃণমূলের!