‘জোর করে যৌন সম্পর্ক করতে গিয়েছিল, তাই ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ চিরে দিয়েছি’, বিজেপি নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর বয়ান
BJP Leader Murder: এ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, "আমরা জানতে পেরেছে পৃথ্বীরাজের সঙ্গে একের অধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল। আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। সেই ভদ্রমহিলা নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। আর মহিলার বক্তব্যের পাশাপাশি তদন্ত করেও আমাদের হাতে যা তথ্য উঠে এসেছে তাতেও আমরা যথেষ্ঠ মিল পেয়েছি।"
উস্তি: উস্তিতে নৃশংসভাবে খুন বিজেপি নেতা বছর তেত্রিশের বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ নস্কর। তাঁর খুনের পরই গ্রেফতার এক মহিলা। একই সঙ্গে আটক আরও এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার দাবি, পৃথ্বীরাজ তাঁকে জোর করছিলেন শারীরিক সম্পর্কের জন্য। নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্যই হাতের কাছে পড়ে থাকা ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ চিরে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভাঙা কলাপসিবল টপকে বাইরে বেরিয়ে এসে পালিয়ে যায়।
ধৃত মহিলার জেরায় জানিয়েছেন, গত ছয় বছর ধরে ওই নেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, ঘটনার দিন মহিলাকে ডাকেন ওই নেতা। এরপর শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এমনকী অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চান। তারপরও কোনও ভাবে নিহত নেতার হাত থেকে বের হতে না পারায় হাতের কাছে পড়ে থাকা একটি ব্লেড দিয়ে ওই নেতার যৌনাঙ্গ চিরে দেন।
অভিযুক্ত বলেন, “ছেলেটাকে ছ’ বছর ধরে ভালবাসতাম। ও আমায় ফোন করে পার্টি অফিসে ডাকে। কথা বলতে-বলতে দেখলাম ড্রিঙ্ক করেছে। বুঝতে পেরে চলে আসছিলাম। তারপর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইল। করিনি আমি কারণ ও আরও অনেকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। ও আমার সামনেই জামা-কাপড় খুলে জোর করছিল। যেটা আমি চাইনি। তাই টেবিলে ব্লেড ছিল পুরুষাঙ্গে চালিয়ে দিয়েছি।”
এ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছে পৃথ্বীরাজের সঙ্গে একের অধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল। আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। সেই ভদ্রমহিলা নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। আর মহিলার বক্তব্যের পাশাপাশি তদন্ত করেও আমাদের হাতে যা তথ্য উঠে এসেছে তাতেও আমরা যথেষ্ঠ মিল পেয়েছি।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে উস্তি থানার দ্বীপের মোড়ের কাছে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে পৃথ্বীরাজ নস্করের (৩৩) ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আটপাড়া এলাকায় থাকতেন ওই বিজেপি নেতা। গত পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় খোঁজ না পেয়ে গত ৭ তারিখ সন্ধ্যায় উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।