Maheshtala School: বাহিনী আছে, তাই ২০ দিন বন্ধ স্কুল! কেউ ভাবল না ১৭০০ পড়ুয়ার লেখাপড়ার কথা
Panchayat Election Result 2023: সূত্রের খবর, প্রায় ১৭০০ পড়ুয়া পড়শোনা করে চট্টা সুবিদ আলি গার্লস হাইস্কুল। পাঠরত পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, একটানা কুড়ি দিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুলের দরজা।
মহেশতলা: পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। ফল বেরিয়ে গিয়েছে। নিজের-নিজের জায়গায় জয়ী রাজনৈতিক দলগুলি বিজয় মিছিলও করেছে। আর এই সবের মধ্যে ব্যাহত হচ্ছে পড়ুয়াদের পড়াশোনা। কারণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা ব্লকের চট্টা সুবিদ আলি গার্লস হাইস্কুল এখনও পর্যন্ত খোলেনি। ফলে কার্যত শিকেয় উঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা।
সূত্রের খবর, প্রায় ১৭০০ পড়ুয়া পড়শোনা করে চট্টা সুবিদ আলি গার্লস হাইস্কুল। পাঠরত পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, একটানা কুড়ি দিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুলের দরজা। কারণ, ভোট মিটেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্কুলে রয়েছে ভিন রাজ্যের পুলিশ। এ দিকে, এতদিন ধরে পড়াশোনা বন্ধ থাকার কারণে অসুবিধায় পড়েছে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক সকলেই। কীভাবে সিলেবাস শেষ হবে, পড়ুয়ারাই বা কীভাবে পড়াশোনা করবে সেই নিয়ে বেজায় চটেছেন অভিভাবকরা।
চট্টা সুবিধ আলী গার্লস হাই স্কুলের প্রেসিডেন্ট সাজ্জাদ হোসেন মল্লিক জানান, “এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনারের ব্যাপার। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ সব জায়গায় জানিয়েছি। দু চার দিনের মধ্যে স্কুল আগের মতই চালু হয়ে যাবে।” ক্ষুব্ধ এক অভিভাবক বলেন, “ভোট মিটেছে। বাচ্চা স্কুলে আসছে আর ফেরত যাচ্ছে। কেউ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, ভোটের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ থাকে ৬ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। আজ ১৯ জুলাই ! প্রায় দশদিন কেটে গিয়েছে তবুও খোলেনি ওই স্কুলটি। এ দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ, ভোট মেটার কুড়ি দিন পর্যন্ত থাকবে বাহিনী। ফলে এতজন মানুষের আস্তানা সংশ্লিষ্ট ওই স্কুলটি।
করোনাকালে প্রায় একটানা দু’বছর টানা সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। যার বেড়েছিল স্কুল ছুটের সংখ্যা। জেলাগুলি থেকে উঠে পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি অনিহার খবর। কেউ-কেউ তো আবার অক্ষর জ্ঞানটুকু ভুলে গিয়েছিল। এই বছর প্রচণ্ড দাবদাহের জন্য এপ্রিল মাসে রাজ্য সরকার সরকারি স্কুলগুলির গরমের ছুটি এগিয়ে দেয়। কিন্তু স্কুল কবে খুলবে তার কোনও নির্দেশিকা দেওয়া ছিল না। পরে অনেক টালবাহানা করে স্কুল খুললেও চলে এল ভোট। শিক্ষকমহলের এক অংশের দাবি এইভাবে চলতে থাকলে ফের বাড়তে পারে স্কুল ছুটদের সংখ্যা।