Violence in Bhangar: ‘প্রশাসনের দুর্বলতার জন্য আজ অশান্ত ভাঙড়’, শওকতের পর ‘বাঁকা কথা’ আরাবুলের
Violence in Bhangar: ভোট গণনার দিন রাতভর তপ্ত ছিল ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া। তিনজনের লাশও পড়ে গিয়েছিল। আহত হয়েছিলেন এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা।
ভাঙড়: ভোট (Panchayat Election 2023) মিটলেও হিংসা থামছে না ভাঙড়ে (Bhangar)। রোজই হচ্ছে রক্তপাত। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন আইএসএফ ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। মঙ্গলবার রাতেও ফের গুলি চলেছে ভাঙড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। তা নিয়ে ফের নতুন করে তপ্ত ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহল। অভিযোগের তির আইএসফের দিকে। এদিকে লাগাতার হিংসার ঘটনায় প্রশাসনের ‘নীরবতা’ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ আরাবুলের সতীর্থ শওকত মোল্লাও।
প্রসঙ্গত, ভোট গণনার দিন রাতভর তপ্ত ছিল ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধও শুরু হয়। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তার গায়ে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর দেহরক্ষীও। ঘটনায় তিনজনের লাশ পড়ে। এর মধ্যে ২ জন আইএসএফ কর্মী বলে শোনা যায়। যদিও আরাবুলের দাবি, অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে আইএসএফই। এদিন কাঁঠালিয়ার সেই আগুনে রাতের কথা বলতে গিয়ে আরাবুল বলেন, “আমাদের উপরের বারবার অ্য়াটাকের পরিকল্পনা নিচ্ছে। এর আগেও কাউন্টিংয়ের দিন দেখেছেন কীভাবে আরাবুল ইসলামের মাথা চাই, আরাবুল ইসলামের মাথা চাই বলে রব উঠেছিল। আমাকে পেলেই হয়তো আমি সেদিন খুন হতাম। তবে আমাকে যতই খুনের হুমকি দিক। যতই ভয় দেখাক। যতই আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করুক আমরা পিছিয়ে যাওয়ার ছেলে নই।”
যদিও এদিনই হিংসা দমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “আসলে একেবারে গেরিলা কায়দায় এরা হামলা করছে। নওশাদ সিদ্দিকী বিজেপর সঙ্গে হাত মিলিয়ে শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের দুর্বলতার জন্য আইএসএফ, বিজেপি ও অন্যান্য দলেরা অশান্তি করার সুযোগ করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলব।”
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও। বলেন, “একটা অংশে তো পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। যে কারণে এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। নাহলে ক্ষমতা আছে কারও যে যে জায়গায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সেখানে গুলি চালায়, বোমাবাজি করে, মাথায় গুলি লাগে মানুষের, খুন করে।” তাঁর স্পষ্ট দাবি, এর পিছনে সম্পূর্ণ বিজেপির মদত রয়েছে। শওকত বলছেন, “আসলে বাংলার হেরে এখন ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য এই ধরনের গেম প্ল্যান গোটা বাংলায় চলছে। বিজেপির কলকাঠিতে ছোটখাটো, খুদে রাজনৈতিক দলগুলো এসব করছে।”