Weather:অসুস্থতা কোন ছাড়! রোগীর পরিজনদের মাথা ব্যাথার কারণ এখন হাসপাতালের জল
Diamond Harbour: প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বর
ডায়মন্ডহারবার: দুর্যোগ থেকে এখনই রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির। অনবরত বর্ষণ চলছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বর। বেজায় অসুবিধায় পড়েছেন হাসপাতালে আসা রোগীরা। হাঁটু সমান জল পেরিয়ে তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে হাসপাতালে।
তবে জল জমার এই সমস্যা আজকের নয়,দীর্ঘদিনের । এই সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে বিষয়টি একাধিকবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনে জানানো হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির সময় নির্মাণকারী সংস্থা ঠিকমতো নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি না করায় এই সমস্যা দাঁড়িয়েছে। একটু হলে বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, সেই জলযন্ত্রণা থেকে এখনই মুক্তি নেই। আগামী কয়েক ঘণ্টা দক্ষিণের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় আগামী এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে আজ রাতে এই জেলাগুলিতে।
অন্যদিকে, বর্ষণের রেখাচিত্র তুলে ধরে এ দিন আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, যে নিম্নচাপের প্রভাবে এই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা বর্তমানে পুরুলিয়ার পশ্চিমে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে তা ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে। গতকাল থেকে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায়। আগামিকাল থেকেই মেঘ কেটে যেতে শুরু করবে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তেমন ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে যেহেতু বর্ষা এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি, তাই কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও হতে পারে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রাজ্যের সমস্ত রিজিওনাল অফিসে কন্ট্রোল রুম চলছে। ট্রান্সফার জলের নীচে থাকলে পাওয়ার অফ করা হবে। কোনও সমস্যা হলে টোল ফ্রী নম্বরে জানানো যাবে-১৯১২১ (টোল ফ্রী নম্বর)। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে- ৮৯০০৭৯৩৫০৩ ও ৮৯০০৭৯৩৫০৪ এই নম্বরে।
নবান্নে কন্ট্রোল রুম হয়েছে। বিদ্যুৎ ভবনেও কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন বিদ্যুতমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সংবাদ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সতর্কতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে এসএমএস এর মাধ্যমে সতর্কতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যৎ সহ ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা