Aadhaar Card Problem: কার্ড আলাদা, নম্বর এক! আজব বিভ্রাটে জয়শ্রী-বনশ্রী, রাঁচি গিয়েও হল না সুরাহা

Aadhaar Card Problem: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা। এক বোনের নাম জয়শ্রী বিজলি ও অপরজন বনশ্রী বিজলি। জয়শ্রী বড় বোন। তিনি বিবাহিতা। বনশ্রী এখনও ছাত্রী। ২০১৩ সালে বনশ্রীর আধার কার্ড তৈরি হয়। পরে ২০১৭ সালে দিদি জয়শ্রীর আধার কার্ড তৈরি হয়।

Aadhaar Card Problem: কার্ড আলাদা, নম্বর এক! আজব বিভ্রাটে জয়শ্রী-বনশ্রী, রাঁচি গিয়েও হল না সুরাহা
বনশ্রী ও জয়শ্রীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2024 | 10:10 AM

কুলপি: আধার কার্ডে নামের বানান ভুল বা জন্ম তারিখ ভুল, এমন অনেক অভিযোগ সামনে আসে। সে সব সমাধান করার উপায়ও আছে। তাই বলে একই পরিবারের দুই সন্তানের আধার নম্বর এক! এও সম্ভব! পরিষেবা পেতে গিয়ে হয়রান হতে হচ্ছে তাদের। সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুই বোন। আধার নম্বর এক হওয়ার কারণে এক বোন করোনার ভ্যাকসিন পর্যন্ত পায়নি বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রেশনও। এবার তো আরও বড় সমস্যা হাজির। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে ছোট বোন, কিন্তু কলেজে ভর্তি হতে গিয়েই পড়ছে সমস্যায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা। এক বোনের নাম জয়শ্রী বিজলি ও অপরজন বনশ্রী বিজলি। জয়শ্রী বড় বোন। তিনি বিবাহিতা। বনশ্রী এখনও ছাত্রী। ২০১৩ সালে বনশ্রীর আধার কার্ড তৈরি হয়। পরে ২০১৭ সালে দিদি জয়শ্রীর আধার কার্ড তৈরি হয়। প্রথমে বিষয়টি তাদের নজরে পড়েনি। পরে সরকারি পরিষেবা নিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, দুই বোনের আধার নম্বর হুবহু এক। ফলে একজন পরিষেবা পেয়ে গেলে, অপরজন তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই আধার নম্বরে তো আর দুবার পরিষেবা দেওয়া যায় না!

এরপর থেকে সমস্যার শুরু। সরকারি পরিষেবা থেকে করোনা ভ্যাকসিন, সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হতে হচ্ছে দুই বোনের একজনকে। গত সাত বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ দুই বোনের। নম্বর জট কাটাতে রাঁচি পর্যন্ত গিয়েছেন তাঁরা, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। বনশ্রী বলেন, “কলকাতায় অনেক জায়গায় গিয়েছি নম্বর বদলানোর জন্য, রাঁচিতেও গিয়েছি। তাতেও সমাধান হয়নি। সাত-আট বছর ধরে এই সমস্যা চলছে।”

তাদের বাবা রত্নাকর বিজলি পেশায় দিনমজুর। কোনওক্রমে চলে সংসার। তার ওপর এই আধার বিভ্রাটে কী করবেন, বুঝতে পারছেন না তিনি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছেন মা স্বপ্না বিজলিও। কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্তও এই ঘটনায় বিস্মিত। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট দফতরের। তবে পরিবার তাঁর কাছে এলে তিনি সমাধানের চেষ্টা করবন।