Bhangar ISF: ‘এভাবে চলে গেলি বাপ?’, ISF কর্মীর মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে অপলক হতভাগ্য বাবা
Bhangar: ভাঙড়ের এই নিত্যদিনের হিংসায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, যে অপরাধী সাজা হোক তার। প্রয়োজনে ফাঁসি হোক। একইসঙ্গে তাঁদের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়-২-এর ভগালি-১ গ্রামপঞ্চায়েতের রেজাউল গাজির মৃত্যু ঘিরে এদিন চাপা উত্তেজনা ছিল এলাকায়। মঙ্গলবার রাতের তাণ্ডবে মৃত্যু হয় রেজাউলের। তিনি আইএসএফ কর্মী। তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, আরাবুল ইসলামদের লোকজন পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছে এবং সে কারণে মৃত্যু হয়েছে এই রেজাউল গাজির। বুধবার দিনভর মৃতদেহ আটকে রাখেন রেজাউলের পরিবার ও গ্রামবাসী। বিকেল নাগাদ আইএসএফের রাজ্য নেতৃত্ব গ্রামে পৌঁছয়। তারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও ফোনে কথা বলেন রেজাউল গাজির বাবার সঙ্গে। ছেলের মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছছেন হতভাগ্য বাবা। কখনও আবার এক দৃষ্টে মরা ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকছেন। কোলের বাচ্চা রেখে চলে গিয়েছেন রেজাউল। বাবা বলছেন, “এভাবে চলে গেলি বাপ”। বৃদ্ধ বাবার অশক্ত কাঁধে এখন যে অনেক দায়িত্ব।
আইএসএফের রাজ্য নেতৃত্বের কথায়, “রেজাউল আমাদের সাথী, তাঁকে আমরা লাশ বলছি। খুব কষ্ট হচ্ছে বলতে। ন্যয় বিচার পাওয়ার জন্য রেজাউলের দেহকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দেবো। তবে আমরা এর বিচার চাই।” রেজাউল গাজির পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আরাবুলের লোক গুন্ডা এনে পুলিশের পোশাক পরিয়ে গুলি চালিয়েছে।” যদিও এ নিয়ে ইতিমধ্যেই শওকত মোল্লা জানিয়েছেন, পুলিশের পোশাকে কেউ লোক ঢুকিয়ে গুলি চালালে তদন্ত হোক। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত হোক।
ভাঙড়ের এই নিত্যদিনের হিংসায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, যে অপরাধী সাজা হোক তার। প্রয়োজনে ফাঁসি হোক। একইসঙ্গে তাঁদের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ। সিদ্দিক আলি গাজি নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা শান্তি চাই। পুলিশ শাসকের হয়ে কাজ করছে।”