নিউ ইয়ারে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস। শুধু রায়গঞ্জ বা উত্তর দিনাজপুরই নয়, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে অন্যান্য জেলার পর্যটকরাও ভিড় জমালেন কুলিকে।
কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় দুই বছর কুলিকে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি করোনা-শঙ্কা কমার পর ফের খুলে গিয়েছিল কুলিকের পক্ষীনিবাস। আজ নতুন বছরের প্রথম দিনেই টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল চেনা ভিড়।
রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস হল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস। এদিন বেলা গড়াতেই কুলিকের পক্ষীনিবাসে উপচে পড়ল পর্যটকদের ভিড়।
কুলিকের বনাঞ্চল আর পরিযায়ী পাখিদের পাশাপাশি পক্ষীনিবাসের ভিতরে থাকা নীলগাই, অ্যাকুরিয়াম, দেশি ও বিদেশী পাখিদের দেখতে বহু পর্যটক এসেছেন এদিন। প্রথমত রবিবার, তার উপর নতুন বছরের প্রথম দিন, বন্যপ্রাণকে এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি পর্যটকরা।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, একটু ভিন্ন স্বাদের আনন্দ উপভোগ করতেই এই কুলিকে আসা। এত সামনে থেকে পাখি ও বন্যপ্রাণীদের দেখতে পেয়ে খুশি তাঁরাও। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে এদিনের উপচে পড়া ভিড়ে আবারও যেন চেনা সৌন্দর্য ফিরে পেল কুলিক পক্ষীনিবাস।
রায়গঞ্জ অভয়ারণ্য যা কুলিক পক্ষীনিবাস বলেই অধিক পরিচিত, সেখানে বহু পাখির দেখা মেলে। রাজ্যের পর্যটন দফতরের পোর্টালের হিসেব অনুযায়ী, এখানে প্রায় ১৬৪টি প্রজাতির পাখির বাস রয়েছে। এছাড়া অনেক পরিযায়ী পাখিও আসে এখানে।