TMC-Congress: রাহুলদের পর একই রাস্তায় হাঁটবেন মমতাও, কী বলছে কংগ্রেস – তৃণমূল?
North Dinajpur: সোমবার সকালেই রাহুলদের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' চোপড়া থেকে ইসলামপুর হয়ে কিষানগঞ্জের দিকে গিয়েছে। এবার রাহুলরা চলে যেতে না যেতেই ওই একই পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাঁটবেন বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, মঙ্গলবার রায়গঞ্জে প্রশাসনিক সভার আগে চোপড়া থেকে পদযাত্রা করে ইসলামপুরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
রায়গঞ্জ: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় রাহুলদের বাংলায় আসার কথা তৃণমূলকে জানানো হয়নি, সেই নিয়ে আগেই উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তাতে নয়া মাত্রা যোগ হল। সোমবার সকালেই রাহুলদের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ চোপড়া থেকে ইসলামপুর হয়ে কিষানগঞ্জের দিকে গিয়েছে। এবার রাহুলরা চলে যেতে না যেতেই ওই একই পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাঁটবেন বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, মঙ্গলবার রায়গঞ্জে প্রশাসনিক সভার আগে চোপড়া থেকে পদযাত্রা করে ইসলামপুরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
জানা যাচ্ছে, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচী ছিল, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে হেলিকপ্টারে এসে তিনি রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজে নামবেন। সেখান থেকে রায়গঞ্জ ষ্টেডিয়ামে সরকারি কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু রাহুলদের কর্মসূচির পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।
প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা নেপাল মাহাতোর কথায়, ‘কোনটা আগে হচ্ছে, কোনটা পরে হচ্ছে, সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। কারণ, রাহুল গান্ধীর কর্মসূচি অনেকদিন আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। চোপড়া বা ইসলামপুরের কর্মসূচিও পূর্বনির্ধারিতই ছিল। তাঁর এই কর্মসূচি পুরোপুরি রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়, পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তুলে ধরাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য।’
নেপালবাবুর আরও সংযোজন, ‘ওরা একটি রাজনৈতিক দল। ওরা কীভাবে কর্মসূচি করবে, সেটা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই। তবে এই কর্মসূচির মধ্যে যদি প্রতিযোগিতার কোনও মনোভাব থাকে, সেটা করা উচিত নয়। কারণ, রাহুল গান্ধী সবাইকেই এই কর্মসূচিতে আহ্বান করেছেন।’
অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির দাবি, ‘চোপড়া ও ইসলামপুরে হেলিপ্যাড তৈরি করেছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী চোপড়ায় নেমে ওখান থেকে হেঁটে, তারপর সড়কপথ ধরে ইসলামপুর আসতে পারেন। ইসলামপুরে কিছুটা হেঁটে হাইস্কুল মাঠে আমাদের হেলিপ্যাড তৈরি আছে। সেখান থেকে তিনি রায়গঞ্জে যাবেন।’
যদিও রাহুলের কর্মসূচির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই বলেই দাবি মন্ত্রীর। বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা সবসময় দেখি। উনি সবসময় মিছিলে-মিটিংয়ে, রাস্তা-ঘাটে হাঁটেন। রাহুল গান্ধী এসেছেন বলে উনি এখানে আসছেন, এটা ভুল কথা। দ্বিতীয়ত, রাহুলজির উচিত ছিল বাংলায় ঢুকে এখানকার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে হাঁটার। আজ তো ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার দরকার নেই, আজ তো জোটকে মজবুত করার দরকার। শিয়রে নির্বাচন। যদি জোট নিয়ে আলোচনা করতেন, তাহলে এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার থেকে বেশি ভাল হত।’