AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Adani Power: এবার ভুটানেও জলবিদ্যুত প্রকল্প গড়ছে আদানি পাওয়ার! ভারতের কী লাভ?

India-Bhutan Relationship: আদানি পাওয়ার, ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা এবং ভুটানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্প. লিমিটেড (DGPC) ভুটানের ওয়াংচু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার্স এগ্রিমেন্ট (SHA)-এ স্বাক্ষর করল। এই প্রকল্পের অধীনে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

Adani Power: এবার ভুটানেও জলবিদ্যুত প্রকল্প গড়ছে আদানি পাওয়ার! ভারতের কী লাভ?
| Updated on: Sep 06, 2025 | 4:10 PM
Share

আদানি পাওয়ার, ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা এবং ভুটানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্প. লিমিটেড (DGPC) ভুটানের ওয়াংচু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার্স এগ্রিমেন্ট (SHA)-এ স্বাক্ষর করল। এই প্রকল্পের অধীনে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (Power Purchase Agreement – PPA) নিয়েও প্রাথমিক সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি প্রকল্পটির জন্য ভুটান সরকারের সঙ্গে কনসেশন এগ্রিমেন্ট (CA)-এও স্বাক্ষর করেছে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি-র উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি। আদানি পাওয়ার এবং ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্পোরেশনকে BOOT (Build, Own, Operate, Transfer) মডেলে ওয়াংচু নদীর ওপর ‘পিকিং রান-অফ-রিভার’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করার পথ সুগম করেছে।

এই ওয়াংচু প্রকল্পে নবায়নযোগ্য শক্তি কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রায় ৬০ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে খবর। জানা গিয়েছে নির্মাণ কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে। ভূমিপুজোর পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আদানি পাওয়ার-এর সিইও এসবি খ্যলিয়া বলেন, “টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভুটান গোটা বিশ্বের জন্য একটি রোল মডেল। এই নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে অংশ নিতে পেরে আমরাও অত্যন্ত আনন্দিত। ওয়াংচু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভুটানের শীতকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এই সময় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত বিদ্যুৎ রপ্তানি হবে ভারতে।”

ডিজিপিসি-র এমডি দাশো চিউয়াং রিনজিন বলেন, “১৯৬০-এর দশক থেকে ভুটান ও ভারত একসঙ্গে কাজ করছে ভুটানের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য। এই জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা দুই দেশের জন্যই বিরাট সুফল বয়ে এনেছে এবং আমাদের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। ভুটান আগামী এক দশকে হাই ইনকাম জিএনএইচ (Gross National Happiness) দেশ হওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এই লক্ষ্যে নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ—বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ ও সৌরশক্তি—অন্য খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে অপরিহার্য। তাই ২০৪০ সালের মধ্যে ভুটান আরও ১৫,০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং ৫,০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। ওয়াংচু প্রকল্প বাস্তবায়নে আদানি গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাদের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক শক্তি, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার কারণে প্রকল্প দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং অন্যান্য প্রকল্পের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করবে।”