AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rat Killings: দেশে থাকবে না আর একটাও ইঁদুর

Rat Killings: ২০১৬ সাল থেকেই এ বিষয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়ে যায় সে দেশের রাজনৈতিক মহলে। মূলত তিন প্রজাতির ইঁদুর থেকে সবথেকে বেশি ক্ষতিকর বলে চিহ্নত করা হয়েছে।

Rat Killings: দেশে থাকবে না আর একটাও ইঁদুর
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2023 | 8:10 AM
Share

ওয়েলিংটন: দেশে থাকবে না আর একটাও ইঁদুর (Rats)। ২০৫০ সালের মধ্যে নির্মূল করতে হবে সব। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) ইঁদুর নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। কিন্তু, যত রাগ সব কেন ইঁদুরের উপর? সূত্রের খবর, নিউজিল্যান্ডে শিকারি ইঁদুরের দাপটে টালমাটাল অবস্থা পাখিদের। কয়েক বছর আগেও যে সমস্ত পাখিদের সহজেই দেখা মিলত তারা এখন বিরল প্রজাতির থাতায়। শুধু পাখি নয়, বহু ছোটোখাটো নিরিহ বন্যপ্রাণীরই প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির মতে শিকারি ইঁদুরের কবলে পড়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার পাখি। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।

এই কারণেই কিছুদিন আগে বুনো বিড়ালদের বংশ বিস্তার রোধে ব্যবস্থা নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, এই দ্বীপ রাষ্ট্রে প্রতি বছর শুধু বুনো বিড়ালদের থাবায় ১১ লক্ষের বেশি পাখি মারা যায়। এই সেই তালিকায় সবথেকে বেশি ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে বুনো ইঁদুরের দল। গাছে বা নীচু জায়গায় বাসা করা পাখিদের ধরে ধরে খেয়ে ফেলছে এই শিকারি ইঁদুরেরা। 

এদিকে এ ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে সে দেশের সরকারকেও। ২০১৬ সাল থেকেই এ বিষয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়ে যায় সে দেশের রাজনৈতিক মহলে। মূলত তিন প্রজাতির ইঁদুর থেকে সবথেকে বেশি ক্ষতিকর বলে চিহ্নত করা হয়। ইতিমধ্যে সে দেশে তৈরি হয়েছে গিয়েছে ‘প্রিডেটর ফ্রি ২০৫০ লিমিটেড’ নামে একটি সরকারি সংস্থা। চলছে  ‘প্রিডেটর ফ্রি ওয়েলিংটন’ প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের অধীনে বর্তমানে ৩৬টি দল কাজ করছে। 

তালিকায় রয়েছে প্যাসিফিক ইঁদুর, মুস্টেলিড (স্টোটস, উইসেল, ফেরেট) এবং পোসাম প্রজাতির ইঁদুর। প্রথমে এই তিন প্রজাতির ইঁদুর নিধনেই সবথেকে বেশি ঝাঁপাচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা। এই তিন প্রজাতির ইঁদুরেরই সবথেকে বেশি দেখা পাওয়া যায় নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের পার্শ্ববর্তী এলাকা মিরামারে। সেখানই বর্তমানে ইঁদুর মারতে সবথেকে বেশি ফাঁদ পাতা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে ইনফ্রারেড ক্যামেরার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য।