AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

El Chapo’s Sons: শত্রুদের বাঘের খাবার বানাতেন কুখ্যাত মাদক মাফিয়ার ছেলেরা

Joaquin ''El Chapo'' Guzman: কার্টেলের সদস্যরা নিজেদের শত্রুর প্রতি কোনও মায়া দয়া দেখান না। এমনকি শত্রুপক্ষের উপর নির্মম অত্যাচার চালান তাঁরা। গায়ে লঙ্কা ঘষে দেওয়া, বিদ্যুতের শক দেওয়া, শরীরে স্ক্রু ডুকিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা শত্রুপক্ষের সদস্যদের সঙ্গে করেন এল চাপো অনুগামীরা।

El Chapo's Sons: শত্রুদের বাঘের খাবার বানাতেন কুখ্যাত মাদক মাফিয়ার ছেলেরা
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2023 | 5:29 PM
Share

ওয়াশিংটন: মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক মাফিয়া জোয়াকুইন গুজম্যান। যিনি ‘এল চাপো’ নামেও কুখ্যাত। এই মাদক মাফিয়া সিনালোয়া কার্টেল দলের প্রধান ছিলেন। তাঁর ছেলেরা এই মাফিয়া চক্রে সক্রিয়। সিনালোয়া কার্টেল মেক্সিকো ও আমেরিকার মাদক কারবারে অভিযুক্ত। মাদক কারবার, অর্থ তছরূপের পাশাপাশি অপরাধের ঘটনা এই সংগঠনের সদস্যদের কাছে রোজদিনের ঘটনা। এই কার্টেলের সদস্যরা নিজেদের শত্রুর প্রতি কোনও মায়া দয়া দেখান না। এমনকি শত্রুপক্ষের উপর নির্মম অত্যাচার চালান তাঁরা। গায়ে লঙ্কা ঘষে দেওয়া, বিদ্যুতের শক দেওয়া, শরীরে স্ক্রু ডুকিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা শত্রুপক্ষের সদস্যদের সঙ্গে করেন এল চাপো অনুগামীরা। এল চাপোর ছেলেরাও শত্রুপক্ষের উপর অত্যাচারের ব্যাপারে প্রথম সারিরে রয়েছেন। শত্রুদের মেরে বা জীবন্ত অবস্থাতেই বাঘকে খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আমেরিকার বিচার বিভাগের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। সেখানেই উল্লেখিত এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিডিও গুজম্যান লোপেজ, জেসাস আলফ্রেডো গুজম্যান সালাজার এবং ইভান আর্চিভালদো গুজম্যান সালারাজ- জোয়াকুইনের তিন ছেলে চাপিতোস বা লিটল চাপোর নামে পরিচিত। এরা সকলেই সিনালোয়া কার্টেলের সদস্য। ফেন্টাইল নামের এক ধরনের মাদক পাচারে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আদালতের চার্জশিটে লেখা হয়েছে, “প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালানো হয় নিনিসের সদস্যদের উপর। পেশিতে স্ক্রু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছি। ক্ষতস্থানের উপরে এবং নাকে গরম লঙ্কা ঘষে দেওয়া হয়েছে।” এল চাপোর ছেলের অত্যাচার করার ধরন নিয়েও সেথানে জানানো হয়েছে, শত্রুদের জীবন্ত অবস্থায় বা গুলি করে মেরে বাঘকে খাইয়ে দেওয়া হত। মেক্সিকোর ওই মাদক মাফিয়ারা ফেন্টানিল নামের একটি মাদক কারবার করেন। মেক্সিকো সীমান্ত পার করে আমেরিকা পাচার করা হয় এই মাদক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হেরোইনের থেকে এই মাদক প্রায় ৫০ গুণ শক্তিশালী।